search the site
বিষাক্ত রাসায়নিকবোঝাই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ নিয়ে উদ্বেগ! রাজ্যস্তরে বিপর্যয় ঘোষণা করল কেরল সরকার

রাসায়নিকবোঝাই জাহাজের ধ্বংসাবশেষকে রাজ্য বিপর্যয় ঘোষণা করল কেরল সরকার। জাহাজে থাকা বিষাক্ত রাসায়নিক থেকে উপকূলীয় অঞ্চলে পরিবেশ এবং মানুষের সুরক্ষা বিঘ্নিত হতে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিষাক্ত কিছু সমুদ্রের পাড়ের দিকে ভেসে আসছে কি না, তার উপর নজর রাখতে স্বেচ্ছাসেবকও নিযুক্ত করেছে কেরল সরকার। উপকূলীয় অঞ্চল নিয়ে উদ্বেগের মাঝেই এ বার কেরল সরকার বিদেশি জাহাজের ধ্বংসাবশেষকে রাজ্য বিপর্যয় ঘোষণা করল।
রাজ্য বিপর্যয় ঘোষণা করার অর্থ এই সমস্যা মোকাবিলার জন্য আগামী দিনে বিশেষ কোনও পদক্ষেপ করতে পারে কেরল সরকার। সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজন অনুসারে ঘোষণা হতে পারে বিশেষ কোনও আর্থিক প্যাকেজও। প্রয়োজনে কেন্দ্রের থেকেও সাহায্য চাওয়ার পথ খোলা থাকবে কেরল সরকারের কাছে। কেরল উপকূলের কাছে ডুবে যাওয়া ওই বিদেশি জাহাজে ৬৪০টি কন্টেনার ছিল। তার মধ্যে কিছু বিষাক্ত রাসায়নিকও ছিল, যা ঘিরে উদ্বেগ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
কেরলের আলপ্পুড়া এবং কোল্লম উপকূলে বেশ কিছু কন্টেনার জলের তোড়ে ভেসে এসেছে। এখনও পর্যন্ত অন্তত ২৯টি এমন কন্টেনারের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, যার বেশির ভাগই ফাঁকা ছিল। তবে কয়েকটি কন্টেনারের মধ্যে প্লাস্টিকের দানার মতো কিছু বস্তু ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, ডুবে যাওয়া জাহাজে ১২টি কন্টেনারে ছিল বিষাক্ত রাসায়নিক ক্যালশিয়াম কার্বাইড। তা ছাড়াও ওই জাহাজে ৮৪.৪৪ মেট্রিক টন ডিজ়েল এবং ৩৬৭ মেট্রিক টন অন্য জ্বালানি তেল রয়েছে বলে জানা যায়। সেগুলি ডুবন্ত জাহাজ থেকে পড়ে গিয়ে সমুদ্রে মিশছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সমুদ্রের পারে ভেসে আসা ওই প্লাস্টিকের দানাগুলি সরানোর জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের তালিকা তৈরি করছে কেরল প্রশাসন। উপকূলীয় অঞ্চলে কোথায় কী ভেসে আসছে, তার উপর নজরদারির জন্য ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি ১০০ মিটার অন্তর অন্তর স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হচ্ছে। এ ছাড়া কেরলের দমকল দফতর, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দল এবং স্থানীয় প্রশাসনও নজরদারি চালাচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ওই জাহাজডুবির অঞ্চলের ২০ নটিক্যাল মাইল ব্যাসার্ধে আপাতত মাছ ধরা কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
source : anandabazar