search the site
কোস্টগার্ডের কড়া নজরদারিতে ভোগ্যপণ্যবাহী জাহাজ

মাসুদুর রহমান
আসন্ন ঈদুল ফিতর ঘিরে যাত্রী ও পণ্যের নিরাপত্তায় অভ্যন্তরীণ সমুদ্র বন্দর, বহির্নোঙর ও নৌপথে নিরাপত্তা কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। পণ্যের দাম বাড়াতে লাইটার জাহাজ যাতে ভাসমান গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত না হয় সেজন্য নিয়মিত নজরদারি করছে বাহিনীটি। এজন্য গত এক মাসে ১ হাজার ৮৫টি জাহাজে অভিযান চালিয়েছে কোস্টগার্ড। পাশাপাশি, পণ্যবাহী জাহাজের ডাকাতি রোধে অপরাধের হটস্পট শনাক্ত করে সেখানেও অভিযান চালাচ্ছে কোস্টগার্ড।
গত ২২ ডিসেম্বর চাঁদপুরের মেঘনায় সার বোঝাই কার্গো জাহাজে ৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। চাঞ্চল্যকর এমন ঘটনার পর নৌপথের নিরাপত্তা নিয়ে ওঠে নানা প্রশ্ন।
সমুদ্র ও নৌপথকে আরও নিরাপদ করতে ২৪ ঘণ্টার টহল কার্যক্রমে নামে কোস্টগার্ড। এরই অংশ হিসেবে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে সোমবার (১০ মার্চ) নিরাপত্তা মহড়া দেয় কোস্টগার্ড। এ সময় ৫টি হাইস্পিড বোট নিয়ে নদীর মোহনায় টহল দেয় বাহিনীর সদস্যরা।
কোস্টগার্ড ঢাকা জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তাকিউল আহসান বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে অপরাধীরা যাতে যাত্রী ও পণ্যবাহী জাহাজে ডাকাতি করতে না পারে সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে কোস্টগার্ড।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঈদ ঘিরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যবাহী জাহাজ বহির্নোঙরে ও নৌপথে দাঁড় করিয়ে ভাসমান গুদামে পরিণত করে। এরফলে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়। এটি বন্ধে গত ১ মাসে ১ হাজার ৮৫টি জাহাজে অভিযান চালিয়েছে কোস্টগার্ড।’
তাকিউল আহসান বলেন, ‘পাশাপাশি বহির্নোঙরে চুরি ও মাদকপাচার বন্ধেও সাঁড়াশি অভিযানে রয়েছে কোস্টগার্ড।
source : somoynews.’