চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের শূন্যতা

Comments Off on চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের শূন্যতা

মঙ্গলবার বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ কন্টেইনারভর্তি জাহাজ ছিল মাত্র একটি। ছবি: ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনআমদানি বাণিজ্যের নেতিবাচক প্রভাবে জাহাজ সংকটে পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। মঙ্গলবার বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ কন্টেইনারভর্তি জাহাজ ছিল মাত্র একটি। বন্দর কর্তৃপক্ষ সক্ষমতা বৃদ্ধিতে দ্রুত পণ্য খালাসের কথা বললেও ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি কমায় বন্দরে কমেছে জাহাজের আনাগোনা।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন জেটিতে পণ্য ওঠানামার জন্য মোট ৮টি জাহাজ ভেড়ানো হয়। এসময় বহির্নোঙরে অপেক্ষায় ছিল মাত্র একটি জাহাজ। এ অবস্থায় দীর্ঘ সময় পর বন্দরে তৈরি হয়েছে জাহাজের শূন্যতা।

কর্তৃপক্ষ বলছে, আগের চেয়ে সক্ষমতা বাড়ায় বন্দরে জাহাজের গড় অবস্থান কমেছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে যেসব কনটেইনার আসছে, সেখানে কোনো জট দেখছি না। কনটেইনারের অবস্থা যথাযথ আছে। আমরা আমাদের সক্ষমতা বাড়িয়েছি। কনটেইনার ধারণক্ষমতা আগে ৪৯ হাজার ছিল, এখন সেটা প্রায় ৫৩ হাজার। সুতরাং কোনো জট নেই।’

তবে বন্দরের সক্ষমতা বাড়লেও ডলার ও এলসি সংকটের কারণে আমদানি বাণিজ্য স্থবির হওয়ায় জাহাজের উপস্থিতি কমেছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।

চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইমপোর্ট কমেনি। কমেছে কর্মাশিয়াল ইমপোর্ট। যেটা হতে পারে অনেক আমদানিকারক এখন আর আমদানি করতে পারছেন না। রুগ্ণ হয়ে গেছেন। ব্যাংকের টাকা দিতে পারছেন না, নতুন করে এলসি হচ্ছে না।’

বারভিডার সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘মূলত আমরা ব্যবসায়ীরা এখন ভালো নেই। কারণ ডলারের ক্রাইসিস আছে। ব্যাংক ও আর্থিক খাতগুলোর অবস্থা ভালো না। এলসি করতে পারছি না। পেমেন্ট করতে গিয়েও ডলারের কারণে ঝামেলায় পড়ছি।’

দেশের প্রধান এই সমুদ্রবন্দরে অন্য সময় জেটি ও বহির্নোঙর মিলে জাহাজের উপস্থিতি থাকত ১৫ থেকে ২০টি।

source : itvbd

Comments are closed.