search the site
নৌপথে ১২ দিনে চীন থেকে পণ্য আসবে চট্টগ্রামে

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে চীনের কোনো বন্দরে পণ্য আনা-নেওয়ায় ব্যবহার করতে হয় কলম্বো, পোর্ট কালাং বা সিঙ্গাপুরের মতো ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর। এতে গন্তব্যে পণ্য পৌঁছতে লাগে ২৫ থেকে ২৬ দিন। ট্রান্সশিপমেন্টে জাহাজ বা কন্টেইনার জট থাকলে সময়ের সঙ্গে বাড়ে খরচও।
এ সংকট কাটাতে এবার চট্টগ্রাম বন্দরমুখি সরাসরি জাহাজ চালু করছে বিশ্বখ্যাত শিপিং প্রতিষ্ঠান সুইজারল্যান্ডের মেডিটেরিয়ান শিপিং কোম্পানি- এমএসসি ও সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্যাসিফিক ইন্টারন্যাশনাল লাইন্স- পিআইএল। এতে নৌপথে মাত্র দশ থেকে বারো দিনের মধ্যেই চীন থেকে সরাসরি পণ্য আসবে চট্টগ্রামে।
এ মাসেই চালু হচ্ছে সুইজারল্যান্ডের মেডিটেরিয়ান শিপিং কোম্পানি- এমএসসি ও সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্যাসিফিক ইন্টারন্যাশনাল লাইন্সের এ জাহাজ সার্ভিস। এতে চীন থেকে চট্টগ্রামে পণ্য আনার সময় কমার পাশাপাশি, কমবে পরিবহন ব্যয়ও।
মেডিটেরিয়ান শিপিং কোম্পানির পরিচালন ও লজিস্টিকস প্রধান আজমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘একটা লম্বা ট্রানজিট টাইম চলে যায়, তো ওটাকে কমিয়ে আমরা অর্ধেকে নিয়ে আসতে চাইছি। ১০ থেকে ১২ দিনে আমরা চীন থেকে চট্টগ্রামে আমরা জাহাজগুলোকে নিয়ে আসতে চাইছি।’
দেশের আমদানি পণ্যের ২৫ শতাংশই আসে চীন থেকে। পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। আর এর প্রায় পুরোটাই সমুদ্রপথে। তাই এ পথে পণ্য পরিবহন নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমেছে বিশ্বখ্যাত শিপিং লাইনগুলো। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর বড় সুফল পাবেন আমদানিকারকেরা।
ফ্রেইট ফরোয়ার্ডাস এসোসিয়েশন সহসভাপতি খায়রুল আলম সুজন বলেন, আমরা ব্যবসায়ী যারা আমরা সব সময় ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ খুঁজি এবং যেখানে ব্যবসা আছে সেই জায়গাগুলোতেই আমরা যাওয়ার চেষ্ঠা করি। এটা ব্যবসায়ীদের ধর্ম। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে চীন সরাসরি যে সার্ভিসটা যে চালু করছে এর সম্ভবনা আসলেই বিশাল।’
এবিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক জানান, আমাদের চট্টগাম বন্দরের জন্য এটা খুব স্বভাকিব একটা অপারেশন। কারণ আমাদের ওই ধরনের সকল সুবিধাই আছে এবং ভবিষ্যৎতে যদি এটা পুরোদমে চালুও হয় সেই চাপটা নেওয়ার মতো সুযোগ–সুবিধা আমাদের রয়েছে।
নতুন এই রুটে সরাসরি পণ্য আনার ক্ষেত্রে ২০ ফুট দীর্ঘ কন্টেইনারের ভাড়া ধরা হচ্ছে দুই লাখ টাকার মতো।
source : itvbd