সিঙ্গাপুরের দুই জাহাজের ১০ লাখ টাকা জরিমানা

Comments Off on সিঙ্গাপুরের দুই জাহাজের ১০ লাখ টাকা জরিমানা

সিঙ্গাপুরভিত্তিক দুই প্রতিষ্ঠানের দুই কনটেইনার জাহাজকে জরিমানা করেছে নৌবাণিজ্য অধিদপ্তর। গত সোমবার এ জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ (স্বার্থ রক্ষা) আইন অনুযায়ী অব্যাহতি সনদ ছাড়া কনটেইনার বোঝাই করায় এ জরিমানা করা হয়েছে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ দুই জাহাজের একটি সিঙ্গাপুরভিত্তিক কনটেইনার জাহাজ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান এক্সপ্রেস ফিডারের এমভি এক্সপ্রেস লোটসি; এটি লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী। আরেকটি সিঙ্গাপুরভিত্তিক স্ট্রেটস ওরিয়েন্ট লাইনের জাহাজ এমভি এসওএল প্রমিজ; এটি পানামার পতাকাবাহী। জাহাজ দুটি চট্টগ্রাম–কলম্বো পথে আমদানি–রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার পরিবহন করে আসছে। দুটি জাহাজকে ৫ লাখ করে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে জাহাজ দুটির একটি এমভি এসওএল প্রমিজের স্থানীয় প্রতিনিধি জিবিএক্স লজিস্টিকস লিমিটেডের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব অপারেশন মুনতাসীর রুবাইয়াত আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আইনের যে ধারায় জরিমানা করা হয়েছে তা আমরা লঙ্ঘন করিনি। এমনকি নৌবাণিজ্য দপ্তর আমাদের ছাড়পত্রও দিয়েছে। জাহাজটি সব নিয়মকানুন মেনে ও সব সংস্থার ছাড়পত্র নিয়ে বন্দর ত্যাগ করেছে।’

বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ (স্বার্থ রক্ষা) আইন, ২০১৯–এর ৩ ধারা অনুযায়ী, সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনের ৫০ শতাংশ দেশীয় পতাকাবাহী জাহাজে পরিবহন করা বাধ্যতামূলক। তবে দেশীয় জাহাজে জায়গার সংকুলান না হলে অব্যাহতি সনদ নিয়ে বিদেশি জাহাজে পণ্য পরিবহন করা যাবে।

জানতে চাইলে নৌবাণিজ্য দপ্তরের মুখ্য কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ আজ প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ (স্বার্থ রক্ষা) আইন, ২০১৯ অনুযায়ী জাহাজ দুটির স্থানীয় এজেন্ট অব্যাহতি সনদ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিল। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে দেশীয় জাহাজ থাকায় অব্যাহতি সনদ দেওয়া হয়নি। এরপরও নির্ধারিত সীমার বেশিসংখ্যক কনটেইনার পরিবহন করায় জাহাজের মালিকের প্রতিনিধিদের এ জরিমানা করা হয়েছে।

যে দুটি জাহাজের জরিমানা করা হয়েছে, সেগুলো চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে পৌঁছায় গত সপ্তাহে। এ সপ্তাহের শুরুতে কনটেইনার বোঝাই করে বন্দর ত্যাগ করে। জরিমানার বিষয়টি নৌবাণিজ্য দপ্তর চিঠি দিয়ে প্রতিষ্ঠান দুটির স্থানীয় প্রতিনিধিদের জানিয়েছে। জরিমানার অর্থ সরকারি তহবিলে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেয়া হয় ওই চিঠিতে।

সূত্র : প্রথম আলো

Comments are closed.