সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিষয়ে একসাথে কাজ করতে সম্মত ঢাকা ও ওয়াশিংটন

Comments Off on সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিষয়ে একসাথে কাজ করতে সম্মত ঢাকা ও ওয়াশিংটন

সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিষয়ে একসাথে কাজ করতে সম্মত ঢাকা ও ওয়াশিংটন

  • নয়া দিগন্ত অনলাইন
  •  ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
– ছবি : ইউএনবি


যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো-টলারেন্স’ নীতি পুনর্ব্যক্ত করে অব্যাহত সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ।

সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিষয়ে একসাথে কাজ করার জন্য বাংলাদেশের আহ্বানে যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।

বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ, তথ্য আদান-প্রদান এবং যৌথ মহড়ার মাধ্যমে তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে মার্কিন পক্ষ বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।

ঢাকায় সফলভাবে শেষ হওয়া বাংলাদেশ-মার্কিন নিরাপত্তা সংলাপে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তারা জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।

বাংলাদেশ যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তার ‘জিরো-টলারেন্স’- নীতি মেনে চলার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে এবং সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থা মোকাবেলায় অব্যাহত সহযোগিতার ওপর জোর দিয়েছে।

সংলাপে বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলসহ আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, নিরাপত্তা সহায়তা, প্রতিরক্ষা বাণিজ্য ও সহযোগিতা, সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থা মোকাবেলা, আন্তর্জাতিক অপরাধ এবং বৃহত্তর আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে।

উভয় পক্ষ বেসামরিক ও সামরিক নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে একমত হয়েছে।

বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে নিরাপত্তা সহযোগিতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পুনর্ব্যক্ত করেছে যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকটের চূড়ান্ত সমাধান এবং এই সমস্যা সমাধানে বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সমর্থন চেয়েছে ঢাকা।

মার্কিন পক্ষ ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে এবং মানবিক সহায়তা সম্প্রসারণে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে।

বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক খন্দকার মাসুদুল আলম এবং মার্কিন পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন মিরা রেজনিক।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা এবং মার্কিন সরকার ও মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধিরা সংলাপে অংশ নেন।

পরে রেজনিক পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

সূত্র : ইউএনবি

Comments are closed.