search the site
জাহাজ বেশি কেএসআরএমের, ধারণক্ষমতায় শীর্ষে এমজিআই
জাহাজ বেশি কেএসআরএমের, ধারণক্ষমতায় শীর্ষে এমজিআই
বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম
২৯ এপ্রিল ২৩

ফাইল ছবি
সমুদ্রগামী জাহাজ ব্যবসার শীর্ষস্থান নিয়ে চলছে ঠান্ডা এক লড়াই। কেএসআরএম গ্রুপ ২৩ জাহাজ নিয়ে এখনও আছে শীর্ষস্থানে। তবে তাদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে মেঘনা গ্রুপ। তাদের মালিকানায় জাহাজ রয়েছে ২২টি। সংখ্যার দিক থেকে কেএসআরএম শীর্ষে থাকলেও ধারণক্ষমতার দিক থেকে শীর্ষে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)। সমুদ্রগামী জাহাজ মালিক সমিতি বলছে, একটি জাহাজ নির্মাণে গড়ে ১৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। সে হিসাবে ৯৬টি জাহাজে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। জাহাজের পরিমাণ কেএসআরএমের বেশি হলেও বিনিয়োগের দিক থেকে আবার এগিয়ে এমজিআই।
সমুদ্রগামী জাহাজের বৃহত্তম বহরের মালিক কেএসআরএম গ্রুপ। প্রায় চার দশক আগে শিপ ব্রেকিংয়ের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে কেএসআরএম এখন দেশের পতাকাবাহী সর্বোচ্চ জাহাজের মালিক। শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানও তারা। তাদের ২৩টি জাহাজের পণ্য পরিবহন ক্ষমতা ১১ লাখ ৭৭ হাজার টন। আরও দুটি জাহাজ বহরে যুক্ত করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে তাদের। চলতি বছর এ দুটি জাহাজ যুক্ত হলে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজের সংখ্যা হবে ২৫। তরুণ বয়সে কেএসআরএম প্রতিষ্ঠা করেন মোহাম্মদ শাহজাহান। এর পর তাঁর দুই ছেলে সারোয়ার জাহান রোকন ও শাহরিয়ার জাহান রাহাত প্রতিষ্ঠানটিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে জাহাজের সংখ্যা একটি কম থাকলেও পণ্য পরিবহনের সক্ষমতায় শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে মেঘনা গ্রুপ অব কোম্পানিজ (এমজিআই)। ফেব্রুয়ারি মাসেই একসঙ্গে নতুন চারটি জাহাজ যুক্ত করে তারা পৌঁছে গেছে অনন্য এক উচ্চতায়। তাদের বহরে সমুদ্রগামী জাহাজের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এখন ২২টিতে। তাদের পণ্য পরিবহন ক্ষমতা দাঁড়িয়েছে সর্বোচ্চ ১২ লাখ ২০ হাজার টনে।
কেএসআরএম ২০০৪ সালে এ খাতে প্রথম বিনিয়োগ করে। ২৩ জাহাজের মালিক হতে তাদের সময় লেগেছে ১৯ বছর। কিন্তু মেঘনা গ্রুপ এ খাতে প্রথম বিনিয়োগ করে ২০১১ সালে। এক যুগের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২টি জাহাজের মালিক হয়েছে তারা। তাদের জাহাজের ধারণক্ষমতা অন্যদের তুলনায় বেশি। তাই ২২ জাহাজ নিয়েই সর্বোচ্চ পরিবহন ক্ষমতা অর্জন করেছে এমজিআই। সর্বশেষ ফেব্রুয়ারি মাসে একসঙ্গে চারটি অত্যাধুনিক জাহাজ লাল-সবুজের নামে রেজিস্ট্রেশন করে তারা। পাইপলাইনে আছে তাদের আরও তিনটি জাহাজ। চলতি বছর এগুলোও যুক্ত হতে পারে বহরে। তা যদি হয় তাহলে এমজিআই ছাড়িয়ে যাবে কেএসআরএমকেও।
নৌবাণিজ্য দপ্তরের মুখ্য কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ বলেন, ‘কেএসআরএম সর্বাধিক জাহাজের মালিক। দ্বিতীয় স্থানে আছে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। তবে পরিবহন সক্ষমতা সবচেয়ে বেশি মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের। প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার এ বাজারে দেশের ১৪টি শিল্প গ্রুপ রয়েছে। চলতি বছর আরও কিছু জাহাজ বহরে যুক্ত হতে পারে। তাহলে এ বছরই শতক পেরিয়ে যাবে লাল-সবুজের জাহাজ।’