search the site
“Covid-free Certification” for Seafarers is a milestone success of our centre-point – the BMMOA
On Sunday, 17 May 2020, 07:34:23 am GMT+6, Md. Shakawat Hossain <[email protected]> wrote:
Dear BDMariners,
Due to some error, there was a problem with the language of last mail and the attachment, Please check the following mail and attached picture.
সম্মানিত বাংলাদেশী মেরিনারবৃন্দ,
সারাবিশ্ব আজ COVID-19 এ আক্রান্ত। বর্তমান পরিস্থিতিতে মেরিনারদের জাহাজে যোগদানের নিমিত্তে COVID-19 মুক্ত সনদপত্র প্রয়োজন। এমতাবস্থায় নৌ পরবহণ মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স এসোসিয়েশন এর ঐকান্তিক উদ্যোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রাথমিকভাবে তিনটি বেসরকারি হাসপাতালকে মেরিনারদের COVID-19 টেস্ট করার জন্য মনোনীত করা হয়েছিল। উক্ত বিষয় সম্বলিত চিঠির অনুলিপি হাসপাতাল সমূহের কাছে দেরিতে পৌঁছানোর প্রেক্ষিতে ও হাসপাতাল সমূহের শুধুমাত্র অভ্যন্তরীণ রোগী টেস্ট করানোর নীতির পরিপ্রেক্ষিতে BMMOA এর সভাপতি ক্যাপ্টেন মো: আনাম চৌধুরী আবারো COVID 19 বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি প্রফেসর ডাক্তার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ এর সাথে যোগাযোগ করেন। ডা: শহীদুল্লাহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বিষয়টি অবহিত করেন।
তার পরামর্শক্রমে BMMOA এর প্রতিনিধি আজ শনিবার (১৬-০৫-২০২০) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ডাক্তার নাসিমা সুলতানা এর সাথে পুনরায় সাক্ষাৎ করে তাকে যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি সামগ্রিক বিষয়াদি জেনে এবং বিবেচনা করে তৎক্ষণাৎ আরো একটি নতুন সার্কুলার জারি করেন যেখানে পূর্বের তিনটির পাশাপাশি একটি মোবাইল ল্যাব সহ আরো নতুন দুটি টেস্টিং সেন্টার মেরিনারদের COVID 19 টেস্ট এর জন্য মনোনীত করা হয়েছে। এছাড়াও উক্ত চিঠিতে উল্লেখিত হাসপাতাল সমূহকে মেরিনারদের জন্য বহি:বিভাগে নমুনা সংগ্রহ ও টেস্ট এর ব্যবস্থা ও অতি দ্রুত টেস্ট এর ফলাফল এবং সার্টিফিকেট প্রদান করার জন্য বলা হয়েছে(ছবিতে পূর্বের চিঠির একই তারিখ ও স্মারকের স্থলাভিষিক্ত নতুন চিঠি সংযুক্ত)। চিঠি প্রদানের পাশাপাশি একই সময়ে আমাদের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ফোনকলের মাধ্যমে উল্লেখিত হাসপাতালসমূহকে মৌখিক নির্দেশ প্রদান করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। উপরন্ত, উল্লেখিত হাসপাতালগুলোতে মেরিনারদের করোনা টেস্টে কোন ধরণের অসুবিধার সৃষ্টি হলে আমাদেরকে জানাবেন এবং আমরা তা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে অবহিত করবো।
সরকারি হাসপাতাল সমূহে মেরিনারদের করোনা টেস্ট আয়োজন এর জন্য আমাদের পুনরায় অনুরোধ এর প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আবারো জানিয়েছেন, আপাতত এই মুহূর্তে করোনা টেস্টের জন্য নির্ধারিত সরকারি হাসপাতাল সমূহে মেরিনারদের যোগদানের নিমিত্তে এই টেস্ট করানো সম্ভব নয়; কারণ সামগ্রিক বিষয়াদির বিবেচনায় সরকারি হাসপাতাল সমূহে লক্ষ্মণ ব্যতীত করোনা টেস্ট করানো হয় না। এ বিষয়ে সরকারের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু জাহাজে যোগদানের জন্য গমনকারী মেরিনারদের লক্ষণ না থাকলেও এই টেস্ট করতে হবে, যার জন্য বেসরকারি হাসপাতাল সমূহকে নির্ধারণ করা হয়েছে। উপরন্তু, যে সমস্ত সরকারি হাসপাতাল সমূহে করোনা টেস্ট করা হয়, সে সমস্ত হাসপাতাল সমূহে করোনা রোগীর চিকিৎসাও করা হয়। সুতরাং সে সমস্ত হাসপাতাল সমূহ তুলনামূলকভাবে ঊচ্চ ঝুকিপূর্ণ; সেখানে করোনামুক্ত সনদপত্রের জন্য যাওয়াও ঝুঁকিপূর্ণ।
এছাড়াও সরকারি হাসপাতাল সমূহে করোনা টেস্টের ফলাফল পেতে বেশ কয়েকদিন সময় লেগে যায়।কিন্তু মেরিনারদের করোনা টেস্টের ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই জাহাজে যোগদান করতে হবে।সুতরাং সরকারি হাসপাতাল সমূহ থেকে করোনামুক্ত সনদপত্র গ্রহণ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জাহাজে যোগদান করা আপাতত সম্ভব হবে না।
এই করোনা টেস্টের যাবতীয় খরচ এজেন্সি/জাহাজ মালিক বহন করবে। অনৈতিকভাবে কোন কোম্পানি বা ম্যানিং এজেন্ট এই খরচ বহন না করলে আমাদের অবহিত করবেন। আমরা সর্বদা আমাদের মেম্বারদের অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট।
এখন পর্যন্ত সরকার কর্তৃক ঢাকার বাইরে কোনো বেসরকারি হাসপাতালকে COVID-19 টেস্টের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ফলশ্রুতিতে এখন পর্যন্ত ঢাকার মধ্যেই মেরিনারদের জন্য করোনা টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদি ঢাকার বাইরে সরকার, বেসরকারি হাসপাতালসমূহকে করোনা টেস্টের জন্য অনুমোদন দেয় সেক্ষেত্রে ঢাকার বাইরে মেরিনারদের জন্য করোনা টেস্ট আমরা আশা করতে পারি।ইতিমধ্যে BMMOA থেকে ঢাকার বাইরে বিশেষ করে চট্টগ্রামে মেরিনারদের জন্য করোনা টেস্ট আয়োজন এর জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।পরিস্থিতি ও সংখ্যা সাপেক্ষে মোবাইল ল্যাবেও ঢাকার বাইরে মেরিনারদের জন্য করোনা টেস্ট এর আয়োজন করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য যে, পরিস্থিতি যখন তুলনামূলক ভাল হবে, আকাশ এবং সড়ক পথে যোগাযোগ সম্ভব হবে, তখনই কেবলমাত্র জাহাজে যোগদান শুরু হবে।আর যোগাযোগ শুরু হলে ঢাকায় এসেও টেস্ট করানো সম্ভব হবে। তাছাড়া ঢাকার বাইরে টেস্ট করে জাহাজে যোগদানের জন্য ঢাকায় এসে ফ্লাই করতে যে সময় ক্ষেপণ হবে, সে বিষয়টিও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। কারণ করোনা টেস্টের ৭২ ঘন্টার মধ্যে যোগদানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
যোগদান শুরু হলে আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় যাতে মেরিনারদের জন্য করোনা টেস্ট এর ব্যবস্থা করতে সময় ক্ষেপণ না হয়,সেজন্য আগে থেকেই BMMOA এর পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নিয়ে রাখা হচ্ছে।
সুতরাং উল্লেখিত বিষয় সমূহ বাস্তবতার আলোকে সবাইকে চিন্তা করে দেখার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
আশা করি,সবাই মিলে সমন্বিত ভাবে আমরা এই সময়ে কাজ করে যাব।
মোঃ শাখাওয়াত হোসেন
সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স এসোসিয়েশন
