search the site
নিখোঁজের পরদিন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের লাশ উদ্ধার
নিখোঁজের পরদিন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের লাশ উদ্ধার
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭
নিখোঁজের পরদিন রাজধানীর শুক্রাবাদ এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে রফিকুল হাসান রিমন (৩২) নামের এক মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। তদন্ত-সংশ্নিষ্টদের ধারণা, ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, হত্যার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে সন্দেহভাজন তিন-চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। হত্যায় তাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে গ্রেফতার দেখানো হবে। এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় করা জিডিটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে।
নিউমার্কেট থানার ওসি আতিকুর রহমান বলেন, নিহত রিমনের মালিকানাধীন একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন রনি নামের এক যুবক। পরে তিনি ফ্ল্যাটটি দখল করে নেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রিমনের বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেন রনি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রনিকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, রিমন উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ১৭ নম্বর সড়কের ২ নম্বর বাসায় থাকতেন। বিচ্ছেদের পর থেকে তার স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে থাকেন সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায়। তবে সন্তানদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে দেখা করতে যেতেন রিমন। গত ১৬ ডিসেম্বর তিনি সন্তানদের নিয়ে বেড়াতে বের হন। রাতে দুই সন্তানকে মায়ের কাছে পৌঁছে দিয়ে উত্তরায় ফেরার কথা ছিল রিমনের। কিন্তু তিনি ফেরেননি। অনেক জায়গায় খুঁজেও তার সন্ধান মেলেনি। তার মোবাইল ফোনে কল হলেও কেউ তা রিসিভ করেনি। পরে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পরদিন তার বাবা খলিল উল্লাহ নিউমার্কেট থানায় জিডি করেন।
নিউমার্কেট থানা পুলিশ জানায়, জিডির তদন্তে নেমে তারা রিমনের সর্বশেষ অবস্থান শুক্রাবাদের মেট্রো শপিংমল এলাকায় পান। এখানকার সিসিটিভি ক্যামেরায় তার ছবি রয়েছে। কিন্তু
তারপর কী ঘটে, সেটা জানা যায়নি। এর মধ্যে রোববার মধ্যরাতে শুক্রাবাদের ১৫ নম্বর কাঁচাবাজার এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনের বেজমেন্টে তার লাশ পাওয়া যায়। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। প্রথমে অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে উদ্ধার করা হলেও পরে স্বজনরা এসে লাশ শনাক্ত করেন।
এদিকে, নির্মাণাধীন যে ভবন থেকে রিমনের লাশ উদ্ধার করা হয়, সেখানকার একটি ফ্ল্যাট তিনি ও তার বন্ধু টুটুল কিনেছিলেন বলে একটি সূত্র দাবি করেছে। পরে ফ্ল্যাটের মালিকানা নিয়ে টুটুলের সঙ্গেও তার বিরোধের সৃষ্টি হয়। তবে পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি।