search the site
বন্দর বার্তা : জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারি ২০১৭
এবারের মূল প্রবন্ধে থাকছে পানগাঁও ইনল্যান্ড কনটেইনার টার্মিনাল এর আদ্যোপান্ত। বর্তমান সময়টা বিশ্ব বাণিজ্যের। আন্তর্জাতিক বিশ্বের সাথে বাংলাদেশ এখন অনেক বেশী সম্পৃক্ত বাণিজ্য-সম্পর্কে। এই বাণিজ্য-যোগের মূল মাধ্যম আমাদের বন্দরসমূহ। প্রতি বছরে দেশে বন্দরের ব্যবহার ১৬-১৮ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই জায়গা সংকুলান হচ্ছে না বন্দরগুলোতে। ফলে পণ্য পরিবহনে তৈরি হচ্ছে দীর্ঘসূত্রতা। বাড়ছে খরচ। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন বন্দর স্থাপনকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে প্রায় ৬৪ একর জায়গা নিয়ে পানগাঁও আইসিটি গড়ে উঠেছে। এর প্রায় ৩৫ একর জমিতে আরসিসি ইয়ার্ড, জেটি ও শেড নির্মাণ করা হয়েছে। বাকী ২৯ একর জমিতে নদীর তীর রক্ষা বাঁধ ও সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১৩ সালের ৭ নভেম্বর তারিখ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক ভাবে পানগাঁও অভ্যন্তরীন নৌ টার্মিনাল এর শুভ উদ্বোধন করেন।
কালের পরিক্রমায় প্রতিনিয়ত জমতে থাকা পাহাড়সম নথির চাপ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরকে মুক্ত করতে চালু হতে যাচ্ছে ই-ফাইলিং সিস্টেম। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ই-গভর্নেন্স সেল-এর মাধ্যমে এটুআই প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত সেন্টাল ডাটাবেজ এর সঙ্গে যুক্ত হবে চট্টগ্রাম বন্দর। এ প্রক্রিয়ায় বিভিনড়ব মন্ত্রণালয় থেকে ই-ফাইলিংয়ের মাধ্যমে নথি ও ডাক আসবে বন্দরে। ই-ফাইলিংয়ের সাহায্যেই এসবের জবাব দিতে হবে এখন থেকে।