BOOKS
নুনকি একটি তারার নাম, ক্যাপ্টেন শামস উজ জামান
Nunki is the name of a star; by Captain ASM Shams Uz Zaman
A sailor’s journey over the oceans.
Captain ASM Shams Uz Zaman is an alumni of Bangladesh Marine Academy, Juldia, Chittagong, Bangladesh. He is from the 11th batch that graduated around 1975. His book has brought a lot of excitement to the Bangladesh mariners, a well knit community. A lot of enthusiastic comments and congratulations were posted in the Mariner’s forums all over the world. This could be summarized by one comment by Captain Khairul Anam from the 9th batch (1973).
“Dear Captain Zaman
I have nearly finished reading your well written book and I must say so far it has been an irresistible reading. You have from the very beginning made the readers inquisitive as to what was in next chapter and what was happening to AbuZa next. I am watching this space with the greatest interest!!
It was quite an interesting reading about Sainul’s role and that of quite a few others in having some influence on shaping your earlier life to some extent, including the Bangladeshis in HK and Abidjan. Could not recognise your cook Irshad, who cooked the best Biryani – perhaps you could introduce him to the readers. I am pretty sure it was not my batch mate Irshad Ali!
It’s taking me longer than usual to complete reading the book since I have been on holiday abroad for more than two weeks after receiving it directly from you through Mahbub (21) – very many thanks to both. Yesterday was a public holiday in the UK and I did make the best use of its evening by reading a few chapters of your interesting book. Now I know where your first daughter got her name of Nunki from as a baby girl!
I have slowed down a bit now otherwise it would be all over at a quick one go and the story of AbuZa would come to an end but I have already got the latest about him from my batch mate Inam Ilahee yesterday and an email recently. Sorry for the delay but I am not ignoring reading your book.
Will give you further closing out feedback soon after reading the book up to the end but I strongly recommend that other mariners obtain their personal copies and start reading soon.
Happy bedtime reading to all.
Kind regards
Khairul Anam, 9UK”
The book is named after his daughter Nunki. His only daughter is Nunki, sons are Sabik, Rigel and Procyon and boats are Capella and Denebola. He owns several boats.
Reviews of the book appeared in several Bengali periodicals.
Prothom Alo’s Mr.Anisul Haque wrote :
আরেকটা কাহিনি নুনকি একটি তারার নাম বইয়ে পড়া। প্রথমা থেকে কিছুদিন আগে বেরিয়েছে বইটা। ক্যাপ্টেন শামস উজ জামান হলেন এর লেখক। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার এই লেখক তাঁর ক্যাডেট জীবন থেকে শুরু করে বিভিন্ন জাহাজে চাকরির অভিজ্ঞতার গল্প এত সুন্দরভাবে লিখেছেন যে এই বই হাতে নিয়ে আমি শেষ না করে ছাড়তে পারিনি। আর শেষ করে স্তব্ধ হয়ে বসে ছিলাম।
লেখকের সহপাঠী আর সহকর্মী ছিলেন আবুজা। তাঁরা মেরিন একাডেমি থেকে বেরিয়ে কলকাতায় একই জাহাজে চাকরি শুরু করেন। সেই জাহাজে ক্যাপ্টেন ছিলেন মালহোত্রা। জাহাজে তখন ক্যাপ্টেনের দুই কিশোরী মেয়ে নীলাঞ্জনা আর দিউতিনিও ছিল। নীলাঞ্জনার সঙ্গে আবুজার ভাব হয়ে যায়। আবুজা নীলাঞ্জনাদের শিমলার বোর্ডিং স্কুলে গিয়ে হাজির হতেন। বলতেন, আমেরিকা থেকে এসেছি, নীলাঞ্জনার কাজিন হই। এভাবে এই অবাঙালি মেয়েটি একদিন দিল্লি থেকে কলকাতায় চলে আসে। তারপর বেনাপোল হয়ে ঢাকা। আবুজাদের বাড়ি ছিল পুরান ঢাকায়, দক্ষিণ কাটারায়। সেই বাসায় নীলাঞ্জনা বধূ হিসেবে ওঠে, আবুজার মায়ের চুলের উকুন বেছে দেয়, কোমরে কাপড় গুঁজে কলতলায় কাপড় কাচে। সেখান থেকে তারা চলে যায় অস্ট্রেলিয়ায়। বহু বছর পরে আবুজার মাথা এলোমেলো হয়ে যায়। আবুজা-নীলাঞ্জনার একটা মেয়ে আছে, নাম নুনকি। তখন আবুজাকে একটা স্বাস্থ্যসদনে রাখা হয়। নীলাঞ্জনা তাঁর কাছে যায়। আবুজা স্ত্রীকে চেনেন না। মেয়েকে চেনেন না। তখন দিল্লি থেকে বড় জামাই গিরিধারী বাবুকে পাঠিয়ে নীলাঞ্জনার বাবা-মা তাঁদের মেয়ে আর নাতনিকে ভারতে ফিরিয়ে আনেন।
রিহ্যাব সেন্টারে স্বামী-স্ত্রীর শেষ দেখার বিবরণটা বই থেকে উদ্ধৃত করি: ‘ওরা বেশি সময় থাকেনি ওখানে। মি. গিরিধারী নুনকিকে আবুজার কোল থেকে নিজের কোলে নিয়েছেন। নীলাঞ্জনা হাতব্যাগ খুলে ছোট একটা স্টেইনলেস স্টিলের কৌটা বের করেছে। আবুজা বেসনের নাড়ু খেতে পছন্দ করে। কৌটার ভেতরে কতগুলো বেসনের নাড়ু। নীলাঞ্জনা কৌটাটা আবুজার কোলের ওপর রেখে খুব জোরে চিৎকার দিয়ে কেঁদে উঠেছে। তারপর কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে গাড়িতে উঠে গাড়ির দরজা বন্ধ করে দিয়েছে।
‘নুনকিকে কোলে নিয়ে গিরিধারী বাবু নীলাঞ্জনার পিছু পিছু গাড়িতে উঠলেন।’
আনিসুল হক writer, journalist
Unquote
An interesting comment by Captain Zaman appears in one of his emails:
‘আমি এপ্রেন্টিশিপ বা শিক্ষানবিশ থাকার সময় এবং চাকরি করার সুবাদে জাহাজ নিয়ে বহু বছর ধরে পৃথিবীর এপ্রান্ত থেকে ওপ্রেন্তে ঘুরে বেড়িয়েছি। জাহাজ বন্দরে ভিড়িয়ে বা সমুদ্রে থাকার সময়, বাড়ীঘরের মত থাকা-খাওয়ার সুবিধার ভেতরে কাজ করেছি। ঝরঝঙ্গার সমুদ্র থেকে শুরু করে- নিরালা পাটি বিছানো সুমুদ্রের লোনা হাওয়ায় নিঃশ্বাস নিয়েছি। কখন নিঃসীম সমুদ্র এবং বিদেশ-বিভুয়ে, পরিবার পরিজন থেকে দূরে থেকে নিঃসঙ্গ সময় কাটিয়েছি।
এসবের কথা নিয়ে আমি একটি মেমোয়ার রা সৃতিকথা লিখতে শুরু করেছিলাম। কিন্ত লিখতে গিয়ে সেসব খুব লম্বা হয়ে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত আমার সমুদ্রচারী জীবনের পর্বগুলোকে বিবেচনা করে, আমার বইটিকে তিনটি পর্বে ভাগ করে লিখেছি। প্রথম পর্বে, আমার শিক্ষানবিশ জিবনের কথা দিয়ে শুরু করে দ্বিতীয় পর্বে এসে আমি যুক্তরাজ্য, হংকং এবং আয়ারল্যান্ডে লেখাপড়া করার সময়ের কথা বলেছি। তৃতীয় বা শেষ পর্বে আমি ১৮০ দিনের সমুদ্র ভ্রমনের বর্ণনা দিয়েছি। এ পর্বে আমার বন্ধু আবুজার জীবনে ঘাত-প্রতিঘাতের বিযোগান্তক কথা বলে, লেখা শেষ করেছি। আমার পাঠক বন্ধুরা এ তিনটি পর্বকে একসাথে পড়ে, সমুদ্র, জাহাজ এবং সমুদ্রচারী মেরিনারদের জীবনের একটি ধারণা পাবেন। এসব লেখার মাঝে আমার বাল্য এবং কৈশোর বয়সের অনেক কথাও উঠে এসেছে।
এ বইটি লেখার পেছনে আমার আরো একটি উদ্দেশ্য আছে। চলমান জীবনে সম্পূর্ণ স্থির বলতে কিছু নাই। এই সেদিন মাত্র আমি নিজেও, আকাশের চাঁদ সূর্য, গ্রহ-তারা ব্যাবহার করে জাহাজের অবস্থান বের করেছি। কিন্তু ‘জিপিএস’ আসার পরে এখন চাঁদ-সূর্য ব্যাবহার না করেও জাহাজ চালানো যায়। এসব বিবেচনায়, আমি চেয়েছি, আমার সময় পর্যন্ত সেইলিংএর সময়টাকে লেখনীর মাঝে ধরে রাখি।
It is very interesting to note; Bangladesh Marine Academy not only produced mariners. Many of the alumni became bankers, leading businessman, community leaders, politicians, writers, leaders in the maritime industry world-wide.
thanks for portraying my book and I so nicely. I appreciate.
Captain Shams Uz Zaman