নৌযানের মাস্টারশিপ-ড্রাইভারশিপ পরীক্ষায় সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি

Comments Off on নৌযানের মাস্টারশিপ-ড্রাইভারশিপ পরীক্ষায় সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতি

পিটিবিনিউজবিডি.কম, by editor December 18, 2o16

যাত্রীবাহী লঞ্চসহ সব ধরনের অভ্যন্তরীণ নৌযান চালকদের (মাস্টার ও ড্রাইভার) যোগ্যতা নির্ধারণী পরীক্ষায় সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি প্রচলিত আইন ও বিধি ভঙ্গ করে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তাকেও রাখা হয়েছে পরীক্ষা বোর্ডে। প্রশ্নপত্র তৈরিকারী কর্মকর্তারাই নিচ্ছেন লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা। নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের অধীনে চলে আসা এই পরীক্ষায় অনিয়ম- দুর্নীতির খবর নিয়ে বছরের পর বছর ধরে বহু গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও অবস্থার পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে না। পরীক্ষায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে অধিদপ্তরের বর্তমান মহাপরিচালক কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিলেও তাঁর কৌশল সুফল বয়ে আনতে পারেনি বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল অধ্যাদেশ (আইএসও) ১৯৭৬ অনুযায়ী, নৌযানে চালক পদে  নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের দুই ধরনের যোগ্যতা নির্ধারণী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার বাধ্যবাকতা রয়েছে। নৌযান পরিচালনার জন্য মাস্টারশিপ ও ইঞ্জিন পরিচালনার জন্য ড্রাইভারশিপ পরীক্ষা দিতে হয়। এ দুই ক্যাটেগরির প্রত্যেকটিতে পর্যায়ক্রমে তৃতীয় শ্রেণি, দ্বিতীয় শ্রেণি ও প্রথম শ্রেণি- এই তিন ধাপের পরীক্ষা নেওয়া হয়। মাস্টারশিপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা মূল চালক (মাস্টার) এবং ড্রাইভারশিপ পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা ইঞ্জিন- চালক (ড্রাইভার) পদে নিয়োগ পান। সরকারি- বেসরকারি সকল নৌযানের ক্ষেত্রে এই বিধান অপরিহার্য।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, প্রত্যেক শ্রেণির পরীক্ষা বছরে অন্তত পাঁচবার নিয়ে থাকে নৌ পরিবহন অধিদপ্তর। এই হিসেবে মাস্টারশিপ ও ড্রাইভারশিপ- দুই ক্যাটেগরিতে বছরে অন্তত ৩০ বার পরীক্ষা হয় এবং প্রতিপরীক্ষায় গড়ে ৮০ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। সব মিলিয়ে যোগ্যতা নির্ধারণী পরীক্ষায় বছরে আড়াই হাজার পরীক্ষার্থী পাস করেন। এই পরীক্ষা গ্রহণের জন্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পরীক্ষা বোর্ড গঠন করে থাকেন। চিফ নটিক্যাল সার্ভেয়ারের (সিএনএস) নেতৃত্বে গঠিত হয় মাস্টারশিপ পরীক্ষা বোর্ড; যাতে সদস্য করা হয় মাস্টারমেরিনারদের। আর প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে গঠিত ড্রাইভারশিপ পরীক্ষা বোর্ডের সদস্য হন মেরিনার বা নৌ প্রকৌশলীরা।

পরীক্ষা বোর্ড গঠনে বিধি লঙ্ঘন : মাস্টারশিপ পরীক্ষার জন্য সিএনএস (চলতি দায়িত্বে) ক্যাপ্টেন কে এম জসিমউদ্দীন সরকারের নেতৃত্বে গঠিত কমিটিতে সদস্য হিসেবে অধিদপ্তরের নটিক্যাল সার্ভেয়ার ক্যাপ্টেন মো. গিয়াসউদ্দিন আহমেদ ছাড়াও জিএমডিএসএস প্রকল্পের কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মাহমুদুল হাসানকে রাখা হয়েছে। এই কর্মকর্তা জিএমডিএসএস প্রকল্পের বাইরে কোনো সরকারি দপ্তরে কর্মরত নন এবং অতীতেও ছিলেন না। অর্থাৎ তিনি রাজস্ব খাতের কেউ নন। এ বিষয়ে তাঁর পূর্বঅভিজ্ঞতাও নেই। অথচ আইএসও ১৯৭৬ এর সংশ্লিষ্ট বিধিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পূর্বঅভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি পরীক্ষা বোর্ডের সদস্য হতে পারবেন এবং তাঁকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি হতে হবে।

একইভাবে ড্রাইভারশিপ পরীক্ষা বোর্ডে সদস্য করা হয়েছে শাহ মেরিন একাডেমির প্রকৌশলী আলমগীর হোসেইন ও বাংলাদেশ মেরিটাইম ট্রেইনিং ইনস্টিটিউটের প্রকৌশলী মো. কামাল হোসেইনকে। এ দুটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানই সম্পূর্ণ ব্যক্তিমালিকানাধীন। গুঞ্জন রয়েছে, অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তার শাহ মেরিন একাডেমির অংশীদারীত্ব রয়েছে; যিনি ড্রাইভারশিপ পরীক্ষা বোর্ডেরও সদস্য।  প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম ফখরুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে গঠিত এই পরীক্ষা বোর্ডের অপর সদস্য অধিদপ্তরের পরীক্ষক এস এম নাজমুল হক।

সংশ্লিষ্ট অনেকের প্রশ্ন- জনবল সংকটের কারণে যদি পরীক্ষা বোর্ডে বাইরের লোক নিতে হয় তাহলে দেশের স্বনামধন্য দুটি সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও মেরিন একাডেমি থেকে কেনো নেওয়া হলো না? এছাড়া জিএমডিএসএস প্রকল্পের পরিচালক ও নারায়ণগঞ্জের শিপ সার্ভেয়ারের অতিরিক্ত দায়িত্বসহ একসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো দায়িত্বে থাকা নাজমুল হককে পরীক্ষা বোর্ডে রাখা হলেও একটি মাত্র দায়িত্ব পালনকারী ঢাকা অফিসের শিপ সার্ভেয়ার মীর্জা সাইফুর রহমানকে এই বোর্ডে রাখা হয়নি। এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

দৃশ্যমান অনিয়ম : এখানে প্রশ্নপত্র তৈরিকারী কর্মকর্তরাই লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে থাকেন। মাস্টারশিপ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করেন ক্যাপ্টেন জসিমউদ্দীন সরকার। তবে তিনি দেশের বাইরে থাকলে ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন আহমেদ এই কাজ করেন। মাত্র ২০ নম্বরের ২০টি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর সংবলিত লিখিত পরীক্ষার খাতা বোর্ডসদস্যরা ভাগাভাগি করে মূল্যায়ন করেন। সদস্যদের মধ্যে খাতা বন্টন করেন বোর্ডের আহ্বায়ক। সর্বনিম্ন ৭ নম্বর পেয়ে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষাও নেওয়া হয় একই পদ্ধতিতে। তবে সিংহভাগ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা নেন আহ্বায়ক জসিমউদ্দীন সরকার নিজে, তার পরের অবস্থানে থাকেন গিয়াসউদ্দিন।

অন্যদিকে, ড্রাইভারশিপ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র শুধুমাত্র এস এম নাজমুল হক তৈরি করেন। তিনি বিদেশ গেলে কিংবা অন্য কোনো কারণে ব্যস্ত থাকলে অদৃশ্য কারণে ড্রাইভারশিপ পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া হয়। নাজমুল হকসহ অন্য সদস্যরা লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন ও উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে থাকেন। মাস্টারশিপের মতো ড্রাইভারশিপ পরীক্ষায়ও ২০ নম্বরের ২০টি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন থাকে; যার পাস নম্বর সর্বনিম্ন ৭। তবে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অধিকাংশ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষাও নেন তিনি।

প্রধান প্রকৌশলীর প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা : পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম ফখরুল ইসলামের ভূমিকা বেশ রহস্যজনক। পরীক্ষা বোর্ডের প্রধান হয়েও তিনি প্রশ্নপত্র তৈরি করেন না, নারায়ণগঞ্জে লিখিত পরীক্ষা গ্রহণকালে সেখানে যান না, উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেন না এবং লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নেন না। তবে বোর্ডসদস্যদের মাঝে উত্তরপত্র বন্টন এবং মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব বন্টন করেন তিনি।

বিষয়টি সম্পর্কে ফখরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে এ প্রতিবেদকের দিকে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে তিনি বলেন, “প্রশ্নপত্র কে তৈরি করেন এবং কে খাতা মূল্যায়ন করেন, তা আপনি কীভাবে জানেন? এটা সাংবাদিকদের জানানো বা বলার বিষয়ও না।” পরীক্ষা বোর্ডে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের কেনো নেওয়া হলো- এ প্রশ্নের জবাবে বোর্ডপ্রধান কর্কশ ভাষায় বলেন, “আমি বোর্ড গঠন করি না, করার এখতিয়ারও নেই।” তাহলে কে বোর্ড গঠন করেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ডিজি মহোদয় করেন, কিছু জানার থাকলে তাঁকে জিজ্ঞেস করেন।”

প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ নানা দুর্নীতি : মাস্টারশিপ ও ড্রাইভারশিপ- দুই ধরনের পরীক্ষায় সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ লেনদেনের কাহিনী এখন অনেকটাই ‘ওপেন সিক্রেট’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সূত্র মতে, প্রতি পরীক্ষার আগে একাধিক সেট প্রশ্নপত্র তৈরি করে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে দেয়া হয় এবং তিনি পরীক্ষার দিন সকালে সেখান থেকে এক সেট প্রশ্নপত্র সরবরাহ করেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রত্যেক প্রশ্নপত্রেই ২০ নম্বরের ২০টি প্রশ্নের মধ্যে ৪০-৫০ শতাংশ প্রশ্ন ‘কমন’ থাকে। অভিযোগ রয়েছে, ওইসব প্রশ্নপত্রের কমন প্রশ্নগুলো পরীক্ষার আগের দিন দালালচক্রের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ প্রার্থীদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। এজন্য হাতেগোনা কয়েকজন দালাল রয়েছেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) একজন প্রকৌশলী ও একজন কর্মচারির কথা বেশ জনশ্রুত। সূত্র মতে, নৌ অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং বাইরের আরো ৫-৬ জন এই কাজে যুক্ত। এছাড়া অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তার ব্যক্তিগত গাড়ির সাবেক এক চালক মাদারীপুর, ফরিদপুর, শরীয়তপুর ও নড়াইল অঞ্চলের প্রার্থী যোগাড় করেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

জানা গেছে, মাস্টারশিপ পাস করানোর জন্য প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে জনপ্রতি নেওয়া হয় পর্যায়ক্রমে এক লাখ, ৮০ হাজার ও ৬০ হাজার টাকা। তবে প্রার্থীদের কাছ থেকে দালালরা আরো বেশি টাকা নিয়ে থাকেন বলে জানা যায়। মাস্টারশিপের মতো ড্রাইভারশিপ পরীক্ষায় পাস করাতেও শ্রেণিভেদে প্রায় সমপরিমাণ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।

বিভিন্নজনের বক্তব্য : এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট পরিবেশবিদ ও পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ম. ইনামুল হক বলেন, নৌ নিরাপত্তার স্বার্থে নৌযান চালকদের পরীক্ষায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা আবশ্যক। যেহেতু পরীক্ষা পদ্ধতি ও পরীক্ষা গ্রহণে অনিয়ম নিয়ে মাঝেমধ্যে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে, সেহেতু স্বচ্ছতার স্বার্থেই বর্তমান পরীক্ষা বোর্ড ভেঙে দিয়ে গ্রহণযোগ্য কর্মকর্তাদের নিয়ে নতুন বোর্ড গঠন করা শ্রেয় বলে মত দেন পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার সাবেক এই মহাপরিচালক।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের এক নেতা এ প্রতিবেদককে বলেন, “পরীক্ষায় যে কতো অনিয়ম, দুর্নীতি ও টাকা লেনদেন হয়ে থাকে তা আমাদের মাস্টার ও ড্রাইভারদের মুখ থেকেই শুনে থাকি।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক  ওই মালিক নেতা আরো বলেন, “নৌ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের নিরপেক্ষতার প্রমাণ করতে হলে অবশ্যই বর্তমান পরীক্ষা বোর্ড ভেঙে দিয়ে বুয়েট ও মেরিণ একাডেমির বিশেষজ্ঞদের সমন্বয় নতুন পরীক্ষা বোর্ড গঠন করতে হবে।” তিনি অবিলম্বে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বোর্ড থেকে অপসারণ এবং বোর্ডসদস্যদের দিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি না করানোর জোর দাবি জানান।

মহাপরিচালকের কৌশল ব্যর্থ : পরীক্ষায় অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে অধিদপ্তরের বর্তমান মহাপরিচালক বেশকিছু পদক্ষেপ নিলেও দৃশ্যত ও কার্যত তাঁর সে কৌশল ব্যর্থ হয়েছে। অধিদপ্তরের পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা দাবি করেন, নারায়ণগঞ্জে লিখিত পরীক্ষার দিন পরীক্ষাকক্ষে একজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ অন্য একাধিক কর্মকর্তা থাকেন। খাতায় প্রার্থীর রোল নম্বর থাকে না, কোড-আনকোড করা হয়। ফলে খাতা মূল্যায়নের সময় প্রার্থীকে চেনার কোনো উপায় না থাকায় কাউকে বিশেষ সুবিধা দেয়ার ন্যুনতম সুযোগ থাকে না। তাই অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ লেনদেনের অভিযোগ সঠিক নয়।

এ প্রসঙ্গে খোদ অধিদপ্তরেরই একজন সাবেক প্রধান প্রকৌশলী এবং একজন সাবেক জাহাজ জরিপকারক ও পরীক্ষক বলেন, লিখিত পরীক্ষা গ্রহণে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য বর্তমান মহাপরিচালকের পদক্ষেপ প্রশংসনীয়। তবে প্রশ্নপত্র প্রস্তুতকারীরা পরীক্ষার একদিন আগে দালালদের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ প্রার্থীদের হাতে প্রশ্নপত্র তুলে দেয়ায় তারা (প্রার্থী) অনায়াসেই পাস নম্বর পেয়ে যাচ্ছেন। আবার এসব কর্মকর্তাই প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা নিচ্ছেন। তাহলে দুর্নীতি বন্ধের সুযোগ কোথায়, পাল্টা প্রশ্ন তোলেন অধিদপ্তরের সাবেক এ দুই কর্মকর্তা।

Comments are closed.