search the site
Employment aboard vessels: What we should be doing
জাহাজী চাকরীর একাল সেকাল – আমাদের করণীয়
আমার কাছে মাঝেমধ্যেই মেরিন একাডেমীর ক্যাডেটদের কাছ থেকে জাহাজে চাকরীর আবেদন আসে। তারা কেউ সদ্য উত্তীর্ণ কেউবা যোগ্যতার সনদপ্রাপ্ত। কারো কারো বায়োডাটায় দেখা যায় সনদপ্রাপ্ত অফিসারের পদে অভিজ্ঞতাও আছে বেশ। আমেরিকার মত দেশে যাবার নাবিক ভিসাও (C1/D) আছে তাদের কারো কারো।
এরকম আবেদন আমার মত আরও অন্যান্য মেরিন পেশায় জড়িত ব্যক্তিদের কাছেও আসে যা পরবর্তীতে হাত ঘুরে আমাদের মত জাহাজ ব্যবস্থাপনায় সরাসরি যুক্ত পেশাদারদের কাছে আসে।
চাকরীর আবেদন আসতেই পারে। এতে দোষের কিছু নেই। আমরাও চাকরীর জন্য এককালে বিভিন্ন জাহাজী অফিসে ধর্না দিয়েছি। ক্যাডেট অবস্থায় যেহেতু আমাদের চাকরী দেওয়ার দায়িত্বটা একাডেমীর উপরই ন্যস্ত, ডিজি শিপিং থেকেই নির্ধারিত হত কে কোন জাহাজে যাচ্ছে। ক্যাডেটরা যার যার জন্য নির্ধারিত জাহাজের অফিসে গিয়ে দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সাথে দেখা করতো চাকরীর জন্য।
জাহাজ কোম্পানির অফিসের টেকনিক্যাল পদে একাডেমীরই সিনিয়রদের দেখা পেয়েছি। তাঁরা পরম স্নেহে আমাদেরকে চাকরীর নিয়োগপত্র দিয়েছেন। তখন মনে হয়েছে মেরিন একাডেমী যদি আমাদের মা হয়ে থাকে তাহলে আমাদের অনেক সিনিয়র এই এক্স ক্যাডেটরা আমাদের বড়র বড় ভাই, যাঁরা ছোট ভাইদেরকে মানুষ করার দায়িত্ব কাঁধে নিলেন।
তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমাদেরও দায়িত্ব ছিল আমাদের ছোট ভাইগুলোর কর্মসংস্থানের জন্য কিছু করা।
বিশেষ করে যখন তাদের আবেদন আমাদের সামনে এসে হাজির হয়।
কিন্তু সেই দিন আর নাই যেদিন টেকনিক্যাল সুপারিন্টেনডেন্টদের হাতেই ছিল জাহাজের লোকজনদের চাকরী দেওয়ার সর্বময় ক্ষমতা। দেশীয় কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে হয়ত কথাটা এখনও খাটে কিন্তু বিদেশী বড় বড় বা মাঝারী কোম্পানির ক্ষেত্রে কিন্তু এই জাহাজে চাকরীর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ আলাদা এবং জটিল একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে যেখানে সুপারিন্টেনডেন্টদের করার তেমন কিছু থাকে না।
এইসব কোম্পানীগুলোতে crewing এর ব্যাপারটা সম্পূর্ণভাবে দেখাশোনা করে crewing department বা Human Resource(HR) Department. কোন কোন কোম্পানিতে আবার ক্যাডেট নিয়োগের জন্য আছে আলাদা বিভাগ যারা শুধুই ক্যাডেট নিয়োগ আর বাছাই নিয়েই ব্যস্ত।
সুপারিন্টেনডেন্টের কাছে আসে শুধুমাত্র বাছাইকৃত ক্যাপ্টেন এবং প্রধান প্রকৌশলীদের তালিকা যাঁদের ইন্টারভিউ নিয়ে থাকেন সুপারিন্টেনডেন্ট। তিনি শুধু এই দুই পদের প্রস্তাবিত অফিসারদের ইন্টারভিউ শেষে গ্রহন অথবা বর্জন করতে পারেন। এর নিম্নপদস্থদের নিয়োগের ব্যাপারে সম্পূর্ণ দায়িত্ব crewing / HR dept এর। সুপারিন্টেনডেন্ট বা ফ্লীট ম্যানেজারের কিছু করার থাকে না এই ক্ষেত্রে।
দেখা যাচ্ছে একটি কোম্পানির সুপারিন্টেনডেন্ট বসেন সিঙ্গাপুর, লন্ডন বা কোপেনহেগেনে আর crewing / HR / Cadet Dept বসছে মুম্বাই বা ম্যানিলায়। কেউ কাউকে কখনো দেখেনি। সমস্ত যোগাযোগ হয় ই-মেইলে, কালেভদ্রে টেলিফোনে কথা হয়। সুপারিন্টেনডেন্টের কাছে কোন ক্যাডেট বা থার্ডমেট একটা চাকরীর আবেদন করলে তা সহৃদয় সুপারিন্টেনডেন্ট তাঁর সেই দায়িত্ববোধ আর দরদ দিয়ে চেষ্টা করেন কিছু একটা করার। তিনি এই আবেদনটার পক্ষে সুপারিশ করে পাঠিয়ে দেন উপযুক্ত বিভাগে। ব্যক্তিগত যোগাযোগ থাকলে তিনি সেই বিভাগের ম্যানেজারকে ফোনে অনুরোধও করে থাকেন আবেদনকারীকে একটা চাকরী দেওয়ার জন্য।
এর পরই শুরু হয় আসল সমস্যা। ক্যাডেট বা জুনিয়র অফিসার নিয়োগের যিনি নীতিনির্ধারক তিনি হয় ফিলিপিনো অথবা আমাদের দাদা। তাঁরা সোজা উত্তর দেন বাংলাদেশী ক্যাডেট আমাদের কোম্পানির স্ট্রাটেজিক লিস্টে নাই, অতএব, দুঃখিত। জুনিয়র অফিসারদের বেলায় বলেন, দুঃখিত, এই মুহূর্তে কোন পদ খালি নাই। আসলে পদ খালি থাকলেই বা কি, পদ তো পূরণ হবে দাদাদের নিজ দেশের অফিসার দিয়ে। নিজের দেশের হাজার হাজার অফিসার থাকতে দাদারা কোন দুঃখে পাশের দেশের লোককে চাকরী দেবে?
নদীর পানির ন্যায্য অংশটুকু দিতে যারা ইতরের মত আচরণ করে তারা দেবে আমাদেরকে চাকরী?
প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশী ক্যাডেট কেন কোম্পানির স্ট্রাটেজিক লিস্টে নেই?
উত্তর হচ্ছে, আমাদের অতীত রেকর্ড। বিদেশী বড় বড় কোম্পানি অতীতে আমাদের ক্যাডেটদেরকে জামাই আদরে নিয়ে গিয়ে চাকরী দিয়েছিল। বিনিময়ে আমরা আমেরিকায় গিয়ে জাহাজ থেকে পালিয়ে গিয়ে নিজের আখের গোছাতে পারলেও হাজার হাজার ছেলের চাকরীর পথ যে চিরতরে বন্ধ করে দিয়েছি তার হিসাব আমরা ভুলে গেলেও কোম্পানির কর্তারা ঠিকই মনে রেখেছেন। জাহাজ পালানোর এই জঘন্য অভ্যাসটা কিন্তু দাদাদের মধ্যে নেই, যার কারণে নিয়োগকর্তারা দাদাদের উপর ভরসা রাখতে পারেন।
এরপর আসছে ভিসা সমস্যা। বাংলাদেশী নাবিক কোন জাহাজে থাকলে সে জাহাজ সিঙ্গাপুরে সরাসরি ঢুকতে পারে না। জাহাজকে বহিনোঙ্গরে অপেক্ষা করতে হয় ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সমাপন করতে। কোন জাহাজ মালিক চাইবে বাংলাদেশী নাবিক নিয়োগ করে এসব অযথা হয়রানী পোহাতে? এরপর আছে দুবাই আর জেদ্দার মত বন্দর যেখানে বাংলাদেশীদের জাহাজে উঠা বা নামার কোন উপায়ই নাই।
এসব সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় কী?
অনেক চেষ্টা করেছিলাম এই দাদাদেরকে ডিঙ্গিয়ে সরাসরি প্রধান কর্তার সাথে আলোচনা করে একাডেমী ক্যাডেটদের জাহাজে তোলার জন্য। প্রধান কর্তা হচ্ছেন Crewing Director যিনি ইউরোপের এক শহরে কোম্পানির বিশাল হেড অফিসে বসেন। আশা ছিল এই ইউরোপিয়ান কর্তা অন্ততঃ আমাদের দেশের সাথে দাদাগিরি না ফলিয়ে একটা ইতিবাচক জবাব দেবেন। কিন্তু আশায় গুড়েবালি। ফলাফল – যেই লাউ সেই কদু। কর্তা জানালেন, ক্যাডেট রিক্রুটিং এর জন্য সিঙ্গাপুর অফিসে যে টিম আছে তার টিম লিডারের সাথে যোগাযোগ করতে। টিমলিডার ঘুরে ফিরে সেই দাদাই। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন কোম্পানি যতদিন বাংলাদেশকে লিস্টে না আনবে ততদিন তাঁর করার কিছুই নাই।
কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর এই এক সমস্যা। পুরা ব্যাপারটা একটা এগ্রিমেন্টের মাধ্যমে সিস্টেমে না ঢুকালে কেউ কিছু করতে পারবে না।
এই সমস্যা সমাধানের উপায় হচ্ছেঃ
১। সরকারী পর্যায়ে জাহাজ মালিকের দেশের সাথে আলোচনা করে একটা সমঝোতায় আসা যাতে তাদের সরকার জাহাজ মালিককে বাধ্য করে বাংলাদেশী ক্যাডেট নিতে।
২। এই দেশগুলিকে বাংলাদেশ বড় বড় কাজের কন্ট্রাক্ট দিচ্ছে, যেমন – পায়রা বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং, পদ্মা সেতুর কাজ ইত্যাদি, তাহলে আমাদের সরকার তাদেরকে চুক্তির শর্ত হিসাবে কিছু ক্যাডেট নিতে বলতে পারে।
৩। যেসব বিদেশী জাহাজ বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহার করছে তাদেরকে বাধ্য করা যেতে পারে এই মর্মে যে, বাংলাদেশে জাহাজ পরিচালনা করতে হলে বাংলাদেশী ক্যাডেট নিতে হবে। বিদেশী জাহাজ মালিকেরা হুজুর হুজুর করে রাজী হয়ে যাবে ক্যাডেট নিতে, কারণ বিনিময়ে তারা পাচ্ছে বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা বাংলাদেশ থেকে।
৪। আমাদের সমস্যার কথা শুধু ফেসবুকে সীমাবদ্ধ রাখলেই চলবেনা, কারণ মন্ত্রীমশাইয়েরা হয় ফেসবুক কী জিনিস তাই জানেন না নয়ত ওসব পড়ার সময়ই নেই তাঁদের। তাঁরা সবসময় ব্যস্ত থাকেন বিদেশীদের সাথে বড় বড় চুক্তি সম্পাদন করা নিয়ে। মন্ত্রীদের কানে সরাসরি কথাটা তোলার জন্য স্মার্ট ক্যাডেটরা ‘বাঁচি আর মরি’ করে যেভাবে পারুক মন্ত্রীদের সাথে মিটিং করুক। মন্ত্রীরা বিদেশী উদ্যোক্তাদেরকে বাংলাদেশে ব্যবসা করার চুক্তির বিনিময়ে ক্যাডেট নিতে বাধ্য করুক।
পরিশেষে ছোট ভাইদের বলতে চাই, হতাশ হওয়ার মত সময় এখনই আসেনি। যারা আমার কাছে আবেদন করেও ফল পায়নি তারা যেন আমার এই অক্ষমতাকে ক্ষমা করে দেয়।
আরেকটা কথা শেয়ার করিঃ বেকার ক্যাডেট বা থার্ডমেটদের মত আমিও বেকার। Maersk Line তাদের UK অফিস বন্ধ করে দিয়েছে লোকসানের অজুহাতে কয়েক মাস আগে। কাজে যুক্ত থাকলে হয়ত চেষ্টা চালিয়ে যেতাম ছোটদের জন্য কিছু করার।
যাদের ফেসবুক বা ইমেইলের জবাব দিইনি চাকরীর আবেদন সংক্রান্ত ব্যাপারে তারা যেন না ভাবে আমি তাদেরকে অবহেলা করে জবাব দিইনি।
বেকার জুনিয়াররা এই জেনে সান্ত্বনা এবং মনোবল লাভ করুক যে শুধু তারাই নয়, তাদের দুই আড়াই যুগের সিনিয়ারও বেকার থাকতে পারে।
Best regards
Mohammed Z Haque (21E)
From: ‘M Rashid’ via Global Professional Mariners [mailto:[email protected]]
Sent: Wednesday, June 29, 2016 11:11 PM
Subject: Re: [BDMariners] জাহাজী চাকরীর একাল সেকাল – আমাদের করণীয়
ধন্যবাদ দোস্ত জহুরুল হককে সুন্দর একটা বিষয় তুলে ধরার জন্যে এবং মুহাম্মদ আলী স্যারকে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় সকলের গোচরে আনার জন্যে ।
আসলে বাজার অর্থনীতিতে বন্ধু বা শত্রু বলে কিছু নেই । এখানে সবাই সবার কম্পিটিটর । কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের পররাষ্ট্রনীতিকে ইলিশ আর শাড়ির আবেগে (আমাদের প্রতিকূলে ) এমনভাবে লেপ্টে ফেলেছি যে এসব কথা উচ্চারণ করতেও অস্বস্তি বা সংকোচ অনুভব করি । সর্বদা ভয় হয় , পাছে লোকে কিছু বলে ।
ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের সবচেয়ে বড় কম্পিটিটর এখন আমাদের সবচেয়ে বড় পরামর্শক হয়ে পড়েছে । ভূ-রাজনৈতিক জ্ঞানশূণ্য কয়েকটি আজব প্রজন্ম আমরা তৈরি করেছি । তারই ( সিকোয়েন্সিয়াল কনসিকোয়েন্স ) ফল এখন আমরা উপভোগ করছি । আর এর সবচেয়ে করুণ শিকার হলাম দেশের মেরিন কমিউনিটি ।
– মিনার রশীদ
On 30 Jun 2016, at 9:41 am, Ali syed mohammad <[email protected]> wrote:
ভাই জহির, বাস্তবতথ্যমূলক সরল সোজাসাপ্টা চিঠির জন্যে অনেক ধন্যবাদ । চাকরীজীবনে আমাদের ছেলেদের দেখেছি খুবই সুনামের সাথে কাজ করতে। দূর্ভাগ্য, আমরা দাদাদের পাশের বাড়ীর গরীব প্রতিবেশী আর আমাদের নতজানু গর্দভ পররাষ্ট্র দফতর। বেকারত্ব আরো বৃদ্ধি হয়েছে সরকারি বেসরকারি মেরীন একাডেমীগুলার স্বাথলোভী কেডেট ট্রেনিং স্কীম। দেশের শিল্পালয়ে প্রচুর সম্ভাবনা , মনস্থির করে এই কাজে আমাদের ঢোকা দরকার ।অন্যদের ইর্ষা হলেও মেরিনারদের দক্ষতা সুবিদিত । ছোট ভাইদের জন্য সুযোগ বড়দেরই করে দিতে হবে। বার্মার নব উত্থান আমাদের সুযোগগুলো আরো ছোট করে দিচ্ছে। বড়ভাইদের সর্বাগ্র প্রচেষ্টা দরকার ।
sye
From: ‘M Rashid’ via Global Professional Mariners
Subject: Re: [BDMariners] জাহাজী চাকরীর একাল সেকাল – আমাদের করণীয়
ছোটভাই সালাহউদ্দীনের লেখাটি পড়ে মনটি যারপরনাই খারাপ হয়ে গেছে। এই ভাবে মন খারাপ করার চেয়ে বেশি কিছু করার নেই । সরকার প্রধান দাবি করেছেন যে গত সাত বছরে দেশের মধ্যে দশ কোটি পয়ষট্টি লাখ চাকুরির সৃষ্টি করেছেন !!! এই হিসাবে দুধের শিশুরও চাকুরি হয়ে যাওয়ার কথা ।
আমাদের সরকারের কর্তা ব্যাক্তিগণ জনগণ থেকে কতটুকু বিচ্ছিন্ন তা এই কিছিমের দাবির মাধ্যমে করুণভাবে ফুটে ওঠেছে । জনগণকে নিয়ে এমন মশকরা এই দেশেই সম্ভব । আমাদের এই বঙ্গেরই কোন সুসন্তান এই পরিসংখ্যানটি উনার হাতে তুলে দিয়েছেন । সন্দেহ হয় , আমাদের এই জীবন মরন সমস্যা আদৌ সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের কানে যৎসামান্যও পৌঁছেছে কি না । বিশ্ব বাজারে অফিসারের দারুন সংকট রয়েছে -সম্ভবত এই ধারনাটিই আমাদের কর্তাব্যক্তিদের মগজে এখনও গেঁথে রয়েছে ।
কাজেই আমরা দুয়েকজন লমফ ঝম্ফ করলেও, যন্ত্রণায় ছটফট করলেও হয়তোবা কিছুই করতে পারবো না ।
যাদের কিছু করার কথা তারা এখনও ঘুমাচ্ছেন । এই সব কান্না তাদের দুয়ারে পৌছাচ্ছে না ।
-মিনার রশীদ
On 30 Jun 2016, at 7:07 pm, ‘Salahuddin Chowdhury’ via Global Professional Mariners <[email protected]> wrote:
Assalamualykum….dear all sir & others,
thanks for ur information.. but my question is after having many requirements also why we junior 4 rank officers dnt hv any job offer from any company to any manning agency last 4 years..!!
as per other email about the 45th & 46th bma 169 coc-3 holder jobless..but as per senior batch till 38th bma all jr-off also jobless more than 2 yrs after having well rank experience too..
this experienced 3rd-off,2nd-off,3rd-eng,4th-eng now jobless long time also not getting any sign of job offer..also except bma if u count direct entry experienced jr-off rank jobless too which figure is
more than 100..
so plz take best initiative of we jr-rank officers from dead bd marine job market as early as possible to save our carrier as well as our family…& BD Marine industry as we al jr-off almost dead already not getting any hope further too..remind u again this situation already passing 4 years ..no idea how long it will dead too !!
on behalf of all jr-off ..humble request to u all plz save us take some strong initiative ….
..we will be ever grateful to u….
Salahuddin/35/N
d md ali/M18E @United power Bangladesh.
From: Shitangsu Das Sent: Saturday, July 2, 2016 1:02 PM To: [email protected]
Subject: [BDMariners] the bitter truth about job
Dear Sirs and fellow mariners,
The below message was a response to make junior batches look into the present problems from a different perspective since it seems they have had enough of senior’s sympathetic words. it is sad that my views are negetive but nothing much to say. It was posted today in one of the facebook pages. This is my personal opinion only and I hope I am proven wrong in every aspect. My sincere apology in advance if it is derogatory towards anybody.
BRGDS
Das (31/N)
বি ডি মেরিনারস পাবলিক পেজ এ আমাদের প্রফেসন এর দুর্দশার কথা অবশ্যই তুলে ধরা উচিৎ যেন নতুন কেউ এই পথে পা না বাড়ায়। তবে সিনিওর রা জুনিওর দের কি উপদেশ বা মিথ্যা আশার বানি শুনাচ্ছে সেটা না আলচনা করাই ভাল। বাংলাদেশ এ মেরিন প্রফেশন একটি মৃত রুগি যাকে অসৎ হাসপাতাল খামোখা artificial life support দিয়ে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী জেনে ও বাচিয়ে রেখেছে টাকা কামানোর জন্য। কাজেই যারা বছর এর পর বছর বেকার বসে আছে তাদের কে মিথ্যা আশার বানি শুনানোর ধৃষ্টতা আমি ব্যাক্তিগত ভাবে support করি না। বিভিন্ন মিডিয়াতে “কেন বাংলাদেশি দের চাকরি নাই” সেটা নিয়ে অনেক থিওরি চালু আছে। কাজেই আজকে আমি নতুন কোন hypothesis না দিয়ে চালু থিওরিগুলোকে ভিন্ন দৃষ্টি কোন থেকে দেখার চেস্টা করব।
(১)ভিসা সমস্যা – সবচেয়ে popular টপিক। এই সমস্যার জন্য একতরফা ভাবে সরকার কে দায়ি করা হয়। আসলে সমস্যার মুলে আছে globally আমাদের বিপুল পরিমান অবৈধ শ্রমিক শ্রেণীর অভিবাসী। সব দেশই কমবেশি জানে বাংলাদেশি দের ভিসা দিলে তারা আর ফিরবে না। আর “jump-ship” এর উদাহরন তো আমাদের মেরিন কমিউনিটিতেই আছে। প্লেন টেক অফ এর সময় মোবাইল এ কথা বলা থেকে শুরু করে ল্যান্ডিং এর সময় সিটবেল্ট খুলে উঠে দাড়ান পরজন্ত বাংলাদেশি রা চ্যাম্পিয়ন। তারপর বিদেশে গিয়ে অনেকেই চুরি ছ্যাচরামির মত কাজ এর সাথে যুক্ত হয়। and the list goes on. bottom line is আমরা সারা প্রিথিবীতে একটি বিরক্তিকর জাতি হিসাবে পরিচিত। সিঙ্গাপুর বা মালয়েশিয়া তে “BANGLA” শব্দ টা একটি গালির মত। এর সাথে গোদের উপরে বিসফোড়ার মত যুক্ত হয়েছে আমাদের নব্য terrorist রাস্ট্র হিশাবে আত্তপ্রকাশ করার আপ্রান চেস্টা। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে জঙ্গি সন্দেহে ৭ জন গ্রেফতার হয়েছে। আর গতকালকের গুলশান এর ঘটনা না হয় বাদ ই দিলাম। এখন বলতে পারেন terrorist কন্ট্রোল করার দায়িত্ত সরকারের। এটা বলা যত সহজ করা প্রায় অসম্ভব। একজন মানুস terrorist হবে কিনা সেইটা তার নিজের ব্যক্তিগত ইচ্ছা। এখানে অন্য কার হাত নাই। প্রসঙ্গত বলে রাখি আমি বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দলকে সাপোর্ট করি না। Anyway বর্তমান প্রেক্ষাপটে ভিসা সমস্যার সমাধান ত হবেই না উলটা আরো খারাপ হবে।
(২) প্রাইভেট একাডেমি – আর একটা hot টপিক। আবার ও বলতে হয় একটু ভিন্ন ভাবে চিন্তা করা উচিৎ । এত বেশি প্রাইভেট একাডেমি কেন আর একাডেমিতে এত ক্যডেট কেন সেই বস্তা পচা আলাপ না করা টাই উত্তম। BMA or Private যাই হোক না কেন সেখানে ভর্তি হবে কি হবেনা সেই মার্কেট রিসার্চ করার দায়িত্ত ছিল যার যার ব্যক্তিগত। চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে ভর্তি হবার ভুল বা দোষ যার যার নিজের। অনেকে কিন্তু ঠিকই research করেছে, যেহেতু হক এন্ড সন্স এর নিজস্ব manning agency আছে তাই ওদের একাডেমি তে ভর্তি হলে চাকরি নিশ্চিত। তাই তারা with or without jack হক এন্ড সন্স এই ভরতি হয়েছে। আমাদের সময় information technology ছিল টপ সাবজেক্ট কিন্তু একই ভাবে শত শত প্রাইভেট ইউনিভারসিটি দেখেই বুঝা গিয়েছিল IT প্রফেসনে চাকরি র সমস্যা হবে। আবার আমাদের ব্যচ এর গোল্ড মেডেলিস্ট আমাদের চেয়ে ও দূরদর্শী ছিল। তাই পাসিং আউট এর পরে সময় নস্ট না করে সে toefl , sat দিয়ে আমেরিকা তে চলে যায়। (প্রসঙ্গত বলে রাখি তার জাগায় JACK ইউজ করে অন্য একজন জয়েন করেছিল- শুনা কথা)। আমাদের ব্যচ এর অনেকেই পাসিং আউট এর পরে ১ বছর এর বেশি বেকার ছিল আর সিংগাপুর রেস্টুরেন্ট এ ওয়েটারের কাজ করে singapore COC নিয়ে আমি নিজে সিম্যান হোস্টেল এ ১ বছর বেকার ছিলাম। since you have already entered the system either you leave or suffer it out. কারন বাংলাদেশি দের জন্য চাকরির বাজার ভাল হবার সম্ভাবনা প্রায় নাই বললেই চলে।
(৩) Seniors will get jobs for juniors – Another Urban Myth. এটা সত্যি অনেক বড় বড় কোম্পানি তে অনেকেই আছেন superintendent এর পদে but with limitations. এই বেপারটা জহুরুল হক সার (২১/e) খুব সুন্দরভাবে লিখেছেন ওনার “জাহাজী চাকরীর একাল সেকাল – আমাদের করণীয়” পোস্ট এ। আমাদের দৌড় superintendent পর্যন্তই। decision making পোস্ট এ senior bangladeshi mariner এর সংখ্যা প্রায় নাই বললেই চলে। আর একটা ব্যপার, আমরা যারা master mariner আমরা সাধারনত audit,hse,commercial,training এইসব পোস্ট এ চাকরি খুজি। বছরের পর বছর HR department কে ছোট করে দেখায় HR ম্যানেজার পোস্ট এ আমার জানামতে কোন বাংলাদেশি নাই। those positions are now taken up by indian and filipino masters. কাজেই সিনিওর রা দুই একটা চাকরি দিতে পারলে ও, there is not going to be any large scale recruitment for junior officers. জুনিয়র দের চাকরি দেয়ার দায়িত্ব কোনভাবেই সিনিওর দের উপরে বর্তায় না এবং এজন্য সিনিয়র দে মনে কোন অপরাধবোধ থাকার কোন কারন নেই।
কাউকে হতাস করা বা খোচা দেয়া আমার আজকের লেখার উদ্দেস্য নয়। সবাইকে নিঠুর বাস্তবতা মনে করিয়ে দেয়াটাই আমার লক্ষ্য। কারন অন্ধ দেশপ্রেম বা বিশ্বাস এবং আবাস্তব সান্তনা আর উপদেস কখনই সুফল বয়ে আনতে পারে না। Please feel free to rectify me if my writing hurts anybody.
Capt Das
(31N)