এবার দিল্লিতে প্রতারণার শিকার বাংলাদেশি ৫ নৌ ক্যাডেট

Comments Off on এবার দিল্লিতে প্রতারণার শিকার বাংলাদেশি ৫ নৌ ক্যাডেট

ভারতে শিক্ষানবিশ নাবিক হিসেবে কাজ করতে গিয়ে বাংলাদেশের পাঁচ যুবক প্রতারিত হয়েছেন। তাঁরা ভারতীয় ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনে গিয়ে প্রতারিত হওয়ার কথা জানান।

ওই পাঁচ যুবক বলেছেন, জাহাজে কাজ পাওয়ার জন্য তাঁরা প্রত্যেকে এক দালালকে তিন লাখ টাকা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই দালাল তাঁদের কাজ না দিয়ে পালিয়ে গেছেন।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও দিল্লির কূটনৈতিক সূত্র থেকে আজ শনিবার এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে গত জুনে মুম্বাইয়ে একই কায়দায় ১৯ বাংলাদেশি তরুণ প্রতারিত হন। ওই ঘটনার দেড় মাসের মাথায় আবারও একই ধরনের ঘটনা ঘটল। ওই ১৯ তরুণকে পরে মুম্বাইয়ে বাংলাদেশ উপ-হাই কমিশন দেশে ফেরত পাঠায়।
দিল্লি থেকে জানা গেছে, দুই সপ্তাহ আগে ওই পাঁচ তরুণ শিক্ষানবিশ নাবিকের কাজ নিতে ভারত যান। তাঁদের প্রত্যেকেই দালালকে তিন লাখ টাকা করে দেন। ওই দালাল টাকা নেওয়ার পর তাঁদের অসহায় অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যান। গত সপ্তাহে তাঁদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এর পর গত শুক্রবার ওই পাঁচ তরুণ দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে গিয়ে তাঁদের অসহায় অবস্থার কথা জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ওই পাঁচ তরুণ এখন দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশনের তত্ত্বাবধানে আছেন। খুব শিগগিরই তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
জানা গেছে, প্রতারণার শিকার ওই পাঁচ তরুণ রাজধানীর শ্যামলীর শাহ মেরিন অ্যান্ড বিজনেস ইনস্টিটিউট থেকে নাবিক হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। তবে সরকারের স্বীকৃত ১৮ বেসরকারি মেরিন একাডেমি বর্তমানে নাবিক হিসেবে ক্যাডেটদের এক বছরের তত্ত্বীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এরপর নাবিক হিসেবে কাজ পেতে হলে তাদের জাহাজে হাতে-কলমে এক বছরের প্রশিক্ষণ নিতে হয়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জাকিউর রহমান ভূঁইয়া আজ প্রথম আলোকে বলেন, দিল্লিতে পাঁচ তরুণের প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে গত জুনে ওয়েস্ট ওয়ে মেরিন ইনস্টিটিউটের যে ১৯ তরুণ প্রতারিত হয়েছিলেন, তাঁদের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে জাকিউর রহমান ভূঁইয়া বলেন, আইন অনুযায়ী প্রশিক্ষণ শেষে ক্যাডেটরা যাতে সঠিক প্রক্রিয়ায় হাতে কলমে কাজের সুযোগ পান, সেটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব বেসরকারি মেরিন একাডেমিগুলোর। এ বিষয়টি যথাযথভাবে করার ক্ষেত্রে তাদের দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।

Comments are closed.