১৮ বেসরকারি মেরিন একাডেমির ৭টি সচল

3 comments

Mariners_956533243

মেরিন শিক্ষায় আগ্রহী হয়ে উঠেছে বর্তমান সময়ের তরুণরা। শিক্ষার্থীদের আগ্রহের কারণেই গত পাঁচ বছরে স্থাপিত হয়েছে বেশকিছু বেসরকারি মেরিন একাডেমি। কাগজে-কলমে দেশে ১৮টি বেসরকারি মেরিন একাডেমি থাকলেও সবগুলিতে একাডেমিক কার্যক্রম সক্রিয় নেই। একাডেমিক কার্যক্রমে সচল রয়েছে মাত্র ৭টি মেরিন একাডেমি।

বাংলাদেশ সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, ১৮টি বেসরকারি মেরিন একাডেমির মধ্যে মাত্র ৭ টিতে ‍কার্যক্রম চলছে। কেমব্রিজ মেরিটাইম একাডেমি,  ওয়েস্ট ওয়ে মেরিন একাডেমিসহ ৮টি মেরিন একাডেমি তাদের ভর্তি প্রক্রিয়াই বন্ধ করে রেখেছে।

অন্যদিকে একাডেমিক কার্যক্রম চলমান আছে মাত্র ৭টি মেরিন একাডেমিতে। এগুলো হলো- শাহ মেরিন অ্যান্ড বিজনেস ইন্সটিটিউট, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম একাডেমি, আটলান্টিক মেরিন একাডেমি, বে-মেরিন ইন্সটিটিউট, ওশান মেরিটাইম একাডেমি, মাস মেরিন একাডেমি, ইউনাইটেড মেরিন একাডেমি। এসব মেরিন একাডেমিতে প্রায় ৫০০ মেরিন শিক্ষার্থী রয়েছে।

এছাড়া ৩টি মেরিন একাডেমি অনুমতি পেলেও এখনও কার্যক্রম শুরুই করতে পারেনি। কার্যক্রম শুরু করতে না পার‍া একাডেমিগুলো হলো- মেরিনা একাডেমি, এশিয়ান মেরিটাইম একাডেমি ও ইউএস বাংলা মেরিটাইম একাডেমি।

সংশ্লিষ্টদের মতে, হঠাৎ একাডেমি বন্ধ করে দেওয়া বা অনুমতি পেয়েও কার্যক্রম শুরু না করতে পারা পুরো মেরিন শিক্ষাখাতের জন্য ক্ষতিকর। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের মেরিনারদের ইমেজ নষ্ট হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অভাব, নেতিবাচক প্রচারণা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে টিকতে পারছে মেরিন একাডেমিগুলো।

আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি মেরিনারদের চাহিদা রয়েছে বলে জানা যায় বাংলাদেশ সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর থেকে।

অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি বছর বাংলাদেশের কয়েক হাজার নতুন ক্যাডেটের কর্মসংস্থান করা সম্ভব। এতে দেশের কর্মক্ষম মানুষের কর্মসংস্থান হওয়ার পাশাপাশি বিদেশি মুদ্রা আয়ের বড় উৎস হতে পারে এই মেরিন একাডেমিগুলো। এক্ষেত্রে সরকারি মেরিন একাডেমি থেকে বছরে ৩০০ থেকে ৪০০ মেরিন ক্যাডেট পাস করে। মেরিন ক্যাডেটের আন্তর্জাতিক চাহিদা মেটানো সম্ভব বেসরকারি খাতকে সহায়তার মাধ্যমে।

এ ব্যাপারে কথা হয় শাহ মেরিন অ্যান্ড বিজনেস ইন্সটিটিউটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ এম আই চৌধুরীর সঙ্গে।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কোনো খাতই রাতারাতি প্রতিষ্ঠিত হয় না। একটি খাত প্রতিষ্ঠিত হতে হলে সময় লাগে। বাংলাদেশে পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠিত খাত হিসেবে তৈরি হতে ৩০ বছর সময় লেগেছে। বাংলাদেশের মেরিন খাত একদিন একইরকম প্রতিষ্ঠিত হবে। যারা এ খাতে বিনিয়োগ করছেন তাদের উচিত দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে খাতটি পরিচালনা করা।

শাহ এম আই চৌধুরী আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে লক্ষাধিক মেরিনার দরকার। সেখানে আমাদের মেরিনার আছে ৫ হাজারের কাছাকাছি। বিশ্বের মেরিনার চাহিদা পূরণ করছে ফিলিপাইন। আমরা যদি মেরিনার তৈরি করতে পারি তাহলে আমরাও বিশ্ববাজারে আমাদের অবস্থান তৈরি করে নিতে পারব। তাই এ খাতে সবার সহায়তা প্রয়োজন।

source: bdnglanews24

  1. If the Private Marine Academies are so eager to contribute to the development of the Maritime Sector, why don’t they invest some money and produce some quality cadets instead of charging 15 to 20 lac to each of them and issuing certificates which are not good enough for their placement on board foreign ships ? I think that it is better for them to remain shut until a proven market is developed for the employment of their products.
    Capt. Shafiq Bhuiyan AFNI
    Chairman NICB.

    • Masud Karim says:

      Bangladesh requires vessel to employ these cadets. Where are those ships. BSC is almost having no ship. All the cadets will remain unemployed and those who are running marine academy they will be earning money. We do not requires cadets, we require ships in Bangladesh at present.

  2. Capt. Shafiq Bhuiyan’s comment cannot be fully agreed. In International Maritime Academy we have fulfilled our placement requirement on foreign flag ships with success. When we have invested and succeeded, such remarks remain irrelevant; particularly for a successful one.
    Mr. Masud Karim is correct in saying that a national fleet is required for initial training and placement. If you look at UK, the dwindling number of seafarers is an indication that the number of ships under British registry has gone down. There are more lucrative profession ashore which will take the youths away from seafaring.