Another scam from Cambridge Maritime College

Comments Off on Another scam from Cambridge Maritime College

ক্যামব্রিজ মেরিটাইম কলেজের প্রতারণার ফাঁদে শিক্ষার্থীরা

সমুদ্রগামী বাণিজ্যিক জাহাজে চাকরির লোভ দেখিয়ে শর্ট কোর্সে ভর্তির নামে শত শত শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রতারণায় মেতেছে ক্যামব্রিজ মেরিটাইম কলেজ। কোর্স শেষে জাতিসংঘের আইএমও এবং আইএলও’র বেতন কাঠামো অনুযায়ী বেতন দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়ে প্রতি কোর্স বাবদ আদায় করা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। ভর্তি শেষে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য মিলেছে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, চাকরির নিশ্চয়তা নিয়ে ভর্তি হওয়ার পর প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করছে। আর এই ডিপ্লোমা নেওয়ার পর কোথাও চাকরি মিলছে না। তারা অভিযোগ করে এই প্রতিবেদককে আরও বলেন, চাকরির বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক খোরশেদ আলমের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি সবার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন সংস্থা ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ জমা পড়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীতে ব্যানার ফেস্টুন, লিফলেট আর চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে মধ্যবৃত্ত পরিবারের মেধাবী সন্তানদের ভর্তি করানো হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানে। কোর্সপ্রতি মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে কোর্স শেষ না হতেই আরেক কোর্সে ভর্তির চাপ দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর সড়কের ২ নম্বর বাড়িতে এই প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান। ক্যামব্রিজ, এ্যাডেঙ্লে এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন দেখিয়ে চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির। শত শত শিক্ষার্থী প্রতারণার শিকার হয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ ধরনের কোনো প্রতিষ্ঠানেরই অনুমতি নেই কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের। তবে সরকারি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে রাজধানীতে কিছু ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠান কারিগরি শিক্ষা ব্যবসায় নেমেছে। কারিগরি বোর্ডের বিভিন্ন কোর্সে সেমিস্টারভিত্তিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসসহ নানা অপকর্ম করে শিক্ষা বোর্ডকে বিতর্কিত করে তুলছে প্রতিষ্ঠানগুলো। সম্প্রতি এ ধরনের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ডিপ্লোমা কোর্সের কয়েকটি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে কোটি টাকা বাণিজ্য করে কারিগরি বোর্ডকে বেকায়দায় ফেলেছে বলে বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কারিগরি বোর্ড থেকে এই ধরনের কোনো প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তবে আমরা তাদের বিষয়ে শীঘ্রই খোঁজ নিচ্ছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (কারিগরি) হোসনে আরা বেগম বলেন, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে অনুমোদনহীন কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অনৈতিক কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নিশ্চয়তা এবং কোর্স পড়ানোর নামে প্রতারণার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক খোরশেদ আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

Comments are closed.