Is S.M. Nazmul Huq above the law?

Comments Off on Is S.M. Nazmul Huq above the law?

 aporadh-bichitra

এস এম নাজমুল হক কি আইনের উর্দ্ধে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী নজর দেবেন কি ?

অনিয়ম আর দুর্নীতি যেন ক্যান্সারে পরিণত হয়েছে সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তরে। এ অনিয়ম ও দুর্র্নীতির মহানায়ক এস এম নাজমুল হক। তিনি কাউকে তোয়াক্কা না করে নিজের খেয়াম খুশি মত চালিয়ে যাচ্ছে তার কাজ। তিনি  যেন টাকা উপার্জনের মেশিন হিসেবে ব্যবহার করছে এ অধিদপ্তরকে। উধর্ধতন কর্মকর্তাদের চোখ ফাকি দিয়ে তার অনিয়ম ও দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে একাধিক বার মন্ত্রনালয়ে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি হলেও  কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারণে ঐ তদন্ত চাপা পড়ে আছে। নাজমুলের অনিয়ম ও দুর্নীতি একাধিক দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও নাজমুলের ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা কর্তৃপক্ষ। নাজমুলের অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ ধারাবাহিক ভাবে অপরাধ বিচিত্রায় প্রকাশিত হলে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে উৎসাহের আমেজ দেখা যায়। তারা মনে করেন দুর্নীতিবাজ ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল হকের ব্যাপারে প্রশাসন এই বুঝি পদক্ষেপ নিচ্ছে। কিন্তু তা না! টাকার জোরে অনিয়ম র্দুর্নীতি চাপা দিচ্ছে মনে হচ্ছে যেন এই অধিদপ্তরটি আল্লাহ চালায়। তিনি সংবাদদাতাকে দেখে নেওয়ার ও হুমকি দেয় যেন আর তার বিরুদ্ধে কোন সংবাদ প্রকাশ না করি। নাজুমল হক বলেন, আমি যদি কোন অনিয়ম করি তার দায়ভার আমার উপর যেমন বর্তায় তেমনই উধ্ধর্তন কর্মকর্তার উপরেই বর্তায়। আপনারা নিউজ করলে আমার কিছুই হবে না। সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তর দীর্ঘ দিন যাবৎ নাবিকদের আইডি কার্ড পরীক্ষা বন্ধ ছিল আবার সেই আইডি কার্ড পরীক্ষা চালু হলে সেই পরীক্ষা এখন অনিয়মের পরিণত হয়েছে, আইডি কার্ড পাওয়া যাচ্ছে টাকার বিনিময়ে। সূত্রে জানা গেল বিএনপি জামায়েত জোট সরকারের আমলে রীতি অনুসরণ করে জাহাজে নিবন্ধিত নাবিকদের স্বল্পতা কাটাতে স্বল্প শিক্ষিত অভিজ্ঞতা ছাড়া প্রাশিক্ষন বিহিন নাবিকদের পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তর। এতে এক দিকে অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে অন্য দিকে প্রশিক্ষন বিহীন নাবিকদের কারণে বিশ্বে শিপিং সেক্টরে বাংলাদেশের ভাব মুর্তি অক্ষুন্ন হওয়ারও আশংকা  দেখা দিয়েছে। আর এই অবৈধ দেশ বিরোধী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ইঞ্জিনিয়ার এস এম নাজমুল হক সহ বোর্ডের কিছু কর্মকর্তা এছাড়াও পরিচয় পত্র দেওয়ার নামে নাজমুল হক প্রতি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩ থেকে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে আইডি কার্ড দিয়ে থাকে। আর এ কাজে সহযোগিতা করেন তার পালিত দালাল চক্র। এ প্রসঙ্গে সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তরের সাবেক হাপরিচালক কমোডোর জোবায়ের আহম্মেদ থাকাকালীন  সময় এর কাছে তখন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরি এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। তবে  এ ব্যাপারে আমি খুব সর্তক আছি। যাতে টাকার বিনিময়ে কেউ আইডি কার্ড না পায়। সমুদ্র পরিবহণ সূত্রে জানা গেছে যে, গত ২১ জুলাই ২০১২ সালে নাবিকদের আইডি পরীক্ষা শুরু হয়েছে, বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৬শত নাবিক পরীক্ষা দিচ্ছে নাজমুল এ পরীক্ষা থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে সূত্রে জানায়। তিনি এই পরীক্ষা নাবিকদের মধ্যে থেকে ২শত নাবিকদের টাকার বিনিময়ে পাস করিয়ে দেবেন। পরীক্ষা বোর্ডের অন্য যে সকল সদস্য রয়েছে তাদের মধ্যে থেকে একজন তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নাজমুল হক পরীক্ষার সময় নাবিকদের পাস করানোর জন্য আমাদেরকে সুপারিশ করেন, বলেন আমাকে সচিব স্যার, মহাপরিচালক, মন্ত্রী, অথবা এমপি এগুলোকে পাস করিয়ে দেওয়ার সুপারিশ করছেন বলে প্রতি পরীক্ষায় ১৫ থেকে ২০ জন পাস করিয়ে দেন। যদি তার কথায় আমারা বাধা দেই তাহলে আমাদের হুমকির শুরে বলেন, আমি আপনাদের কথা মন্ত্রীদের কাছে বলে দিব। যে আপনারা পাস করাতে বাধা দিয়েছেন। সমুদ্র পরিবহণ সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সি ফেয়ার ইউনিয়নের সভাপতি সৈয়দ মোঃ আরিফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ মার্চেন্ট শিপিং অডিনার্স ১৯৮৩ এর ১০৫, ১০৬ ও ১০৭ ধারা অনুযায়ী অভিজ্ঞতা ছাড়া এবং প্রশিক্ষণ বিহীন কাউকে আইডি কার্ড ইসূ করার নামে আইন লঙ্ঘন করছেন। মার্চেন্ট শিপিং অর্ডিনার্স লঙ্ঘনের বিষয়ে এ ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ার এস এম নাজমুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমাদের এই পরীক্ষায় কোন অনিয়ম হচ্ছে না। এসব কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা এখানে কিছু হলুদ সাংবাদিক রয়েছে তারা এসব কথা বলে তাদের জন্য কি আমরা কাজ করবো না? আমরা কি কাজ বন্ধ করে দিব। তা তো হতে পারে না ? নাবিকদের আইডি কার্ড দেওয়া হলে তারা ফরেন কারেঞ্চি নিয়ে আসবে দেশের বেকারত্ব দূর হবে এবং দেশের উন্নয়ন হবে। আর এ নিয়ে লেখা লেখি হলে সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তর মামলা করে দিবে সে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ সি ফেয়াররা ইউনিয়নের সভাপতি সৈয়দ মোঃ আরিফ হোসেন বলেন, আগেরবার আইডি কার্ড পরীক্ষা নেওয়ার সময় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, তখন আমাদের সঙ্গে অধিদপ্তরের সমঝোতা হয়েছিল তারা আর সমুদ্রগামী জাহাজের জন্য আইডি কার্ড ইস্যু করবে না। শুধুমাত্র প্রশিক্ষীত ও অভিজ্ঞতা আছে এমন লোকদেরই তারা আইডি কার্ড দেবে কিন্তু সেই কথার বরখেলাপ করেছে অধিদপ্তর। এ ব্যাপারে তৎকালীন মহাপরিচালক কমোডোর জুবায়ের আহম্মেদ বলেন আরিফ হোসেন সভাপতি নেই সে কোথায় তাকে আমরা খুঁজেছি। তিনি সভাপতি নেই, তার খোঁজ আপনার কাছে থাকলে দিন, পুলিশ পাঠিয়ে ধরে আনবো। আর টাকার বিনিময়ে আইডি কার্ড দেয়া হচ্ছে না। এ কথাগুলো সঠিক নয়, আমরা স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় শুধুমাত্র নন কনভেনশনাল জাহাজের জন্য আমরা আইডি কার্ড ইস্যু করছি। সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে আরো জানা গেছে, গত ২ জুলাই ২০১৩ থেকে শুরু করে, এর পর সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের আইডি কার্ড পেতে আগ্রহীদের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য ৪ সদস্যর একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুত্রে আরো জানা যায় যে, নিবন্ধিত হওয়া স্বল্প শিক্ষিত প্রশিক্ষন ও অভিজ্ঞতা বিহীন নাবিকরা প্রকৃতভাবে নিবন্ধিত নাবিকদের চাহিদা কমেছে, এছাড়া এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনিষ্টিটিউট প্রাক্তন নাবিক প্রশিক্ষন কেন্দ্র থেকে ১৫০ জনের মতো প্রশিক্ষিত নাবিক বেড়িয়ে আসবে। এ অবস্থায় স্বল্প শিক্ষিত প্রশিক্ষন ও অভিজ্ঞতাহিন পরিচয়পত্র ধারীরা তাদের চাকরিতে বাধা হয়ে দাড়াবে বলে আশঙ্কা, প্রশিক্ষিত ও নিবন্ধিত নাবিকদের আইডি কার্ড পরীক্ষার্থীদের দাবি এরকম চলতে থাকলে শিক্ষিত নাবিকরা উৎসাহ হারাবে সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তর। এ ব্যাপারে উর্ধ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন ভুক্তভোগী মহল।

Source: Aporadh Bichitra

Comments are closed.