search the site
Corruption in Master’s examination
জাহাজের মাস্টারশিপ পরীক্ষায় দুর্নীতি তদন্তে নোটিশ
সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তরের (ডিপার্টমেন্ট অব শিপিং-ডস) অধীনে অনুষ্ঠিত জাহাজের মাস্টারশিপ পরীক্ষায় দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের জন্য জাস্টিজ ডিমান্ড নোটিশ (বিচার প্রাপ্তির প্রত্যাশায় পত্র) পাঠিয়েছে ‘নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি’।
নোটিশে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন ও তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ককে পরীক্ষা কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হারুন আর রশীদ নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক আশীষ কুমার দের পক্ষে শনিবার নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং অধিদপ্তরের চিফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার (সিএনএস) ও পরীক্ষা কমিটির প্রধান কেএম জসিম উদ্দীন সরকার বরাবর এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া না হলে উচ্চ আদালতে প্রতিকার প্রার্থনা করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া নোটিশে বিধি বহির্ভূতভাবে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তরের সিএনএস পদে চলতি দায়িত্বে থাকা নৌ বাণিজ্য অধিদপ্তরের (মার্কেন্টাইল মেরিন ডিপার্টমেন্ট-এমএমডি) নটিক্যাল সার্ভেয়ার কেএম জসিম উদ্দীন সরকারকে প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
একই সঙ্গে নৌ খাতের উন্নয়নে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থ সহায়তায় গৃহিত ‘গ্লোবাল মেরিন ডিসট্রেস্ড অ্যান্ড সেফটি সিস্টেম (জিএমডিএসএস)’ প্রকল্পের কার্যক্রমের সঙ্গে তাকে সম্পৃক্ত না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে নোটিশে।
সমকাল, যুগান্তর, ভোরের কাগজ, সকালের খবর ও জনতাসহ বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিকের উদ্ধৃতি দিয়ে আইনি নোটিশে উল্লেখ করা হয়, মাস্টারশিপ পরীক্ষায় অর্থের বিনিময় পাস করানোর মতো কেলেঙ্কারির খবর বারবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও ঘটনা তদন্তে মন্ত্রণালয় ও সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তর নিশ্চুপ রয়েছে।
জাতীয় স্বার্থে এ অভিযোগ তদন্তের অনুরোধ জানিয়ে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি’ নৌ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরকে পত্র দিলেও কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। জসিম উদ্দীন সরকার এমএমডির খুলনা অফিসের নটিক্যাল সার্ভেয়ার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও মংলা বন্দর অরক্ষিত রেখে দীর্ঘ পাঁচ বছরেরও বেশি সময় তাকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ঢাকায় সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তরের সিএনএসের চলতি দায়িত্বে রাখা হয়েছে।
এছাড়া উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত না করে এবং সরকার আনুষ্ঠানিক প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগ করার আগেই অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে বিধি বহির্ভূতভাবে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার জিএমডিএসএস প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
Source: BanglaMail