State of Marine Academy

2 comments

Sajal Srabon

sajal srabon

“Amir Hossain Khan Rana-

ধবংসের পথে বাংলাদেশের মেরিনারদের বাজার। শেয়ার বাজারের মতো মেরিনের
বাজারেও ধসের সৃষ্টি হয়েছে।নীরব দর্শকদের মতো আমরাও হাত গুটিয়ে বসে আছি। যেন আমাদের
কিছুই করার নেই। শুধু রেটিংদেরই নয়, অফিসারদের বাজারও ধবংস হয়েই গেছে বলা যায়।
পর্যাপ্ত জাহাজ কোম্পানি না বাড়িয়ে, নতুন জাহাজ না এনে একের পর এক শুধু নতুন নতুন মেরিটাইম ট্রেনিং সেন্টার ও একাডেমী বাড়ানো হচ্ছে । অপরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হচ্ছে কৃত্রিম সংকট। নতুন বাজার
সৃষ্টি না করে দেদারছে দেওয়া হচ্ছে CDC যেখানে অভিজ্ঞ সীম্যানরাই চাকরির অভাবে পথে ঘুরছে সেখানে নতুনরা কোথায় যাবে? সরকারি নাবিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত

NATIONAL MARITIME INSTITUTE.

থেকে যেখানে একসময়. মাত্র 40 থেকে 50 জন করে নাবিক বের হতো সেখানে এখন প্রতি বছর 400 জন
করে নাবিক বের করা হচ্ছে। উপরন্তু মানিকগঞ্জ এর আওতায় সাবেক নৌ মন্ত্রী শাহাজাহান সাবের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান থেকে আরও 50 জনের বেশী বের হচ্ছে। এরা কোথায় যাবে? এরপর আবার বেসরকারি প্রতিষ্ঠান
গুলোকে লাইসেন্স দেয়া হলো।

MAS, BAY SHIPPING, HOQUE AND SON’S, BMTI,

এছাড়াও আরও অনেক প্রতিষ্ঠান থেকেও 20 থেকে 50 জন করে প্রতি প্রতিষ্ঠান থেকে বের হচ্ছে। এসব নতুনদের বাজার কোথায়? এরপরও অবসরপ্রাপ্ত নৌ বাহিনীর সদস্যরা কোন প্রাতিষ্ঠানিক ট্রেনিং ছাড়াই, কোন পরীক্ষা ছাড়াই তাদের CDC ইস্যু করা হচ্ছে।

কিন্তু এতো কিছুর পর বাংলাদেশে কয়টা নতুন জাহাজ কোম্পানি এসেছে? একের পর এক
স্ক্র্যাপ
করা হচ্ছে বাংলাদেশী জাহাজ। গতকালই জানলাম ট্রেডওিন কোম্পানির সর্বশেষ জাহাজটিও ভাটিয়ারিতে তুলে দেওয়া হলো এবং তারা আর শিপিংয়ের ব্যাবসা করার সম্ভাবনা নেই। এমতাবস্থায় আমাদের কার কি করার আছে?

গতকাল এক অফিসার বড় ভাই শিপিং অফিসে তার মতামত জানালেন, “অনতিবিলম্বে যতগুলো সরকারি ও
বেসরকারি (NMI, MARINE ACADEMY) সহ সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া উচিত, যতদিন না মেরিনার দের বাজার আগের মতো স্থিতিশীল না হয়। এরপর সকল প্রাইভেট ট্রেনিং সেন্টার গুলো থেকে তাদের লাইসেন্স তুলে নেওয়া উচিত। এসব প্রতিষ্ঠানের শুধু শর্ট কোর্সের অনুমতি চালু রাখা যেতে পারে, তাও সিমিত পরিসরে। বাজার ভালো হলে বাজারের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পরিকল্পিত ভাবে ও নিয়োন্ত্রিত ভাবে শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠান ( NATIONAL MARITIME INSTITUTE, MARINE ACADEMY)
চালু রাখা যেতে পারে। ”

এছাড়া নৌ বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের সরাসরি CDC ইস্যু করা একেবারেই অযৌক্তিক, তারা কেন মার্চেন্ট জাহাজে চাকরির সুযোগ পাবে? যদি তাদেরকে এ সু্যোগ দেয়া হয় তবে তা নির্দিষ্ট কোটা মেনে ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হয়ে ট্রেনিং সম্পন্ন করে তবেই তারা সিডিসি পেতে পারে।

যতগুলো প্রতিষ্ঠান হয়েছে এগুলো করে কিছু মুষ্ঠিমেয় লোকের ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়াতে কাজ করছে। একেকটি রেটিং বের হচ্ছে 500000 থেকে 800000. লাখ টাকা খরচ করে।প্রত্যেকটি ক্যাডেট দের কাছ
থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে 1400000 থেকে 2500000 লাখ টাকা। অভিবাবকদের প্রতি অনুরোধ আপনারা আপনার সন্তানদের এসব প্রতিষ্ঠানে ঢোকবার আগে এই মেরিন সেক্টর সম্পর্কে ভালো করে জেনে নিন।

সবার প্রতি অনুরোধ, এসম্পর্কে একটু ভাবুন। অফিসার ও ক্রু যার যার নিজ নিজ ইউনিয়নের এব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বলুন। আর দেরী না করে সবাই এবিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।

  1. I agree

  2. Thanks for this post. I think that, we should try to fill up the maximum top post/position of maritime sectors of Bangladesh. Without this way its so hard to control… .. .